পিটিআইকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) জানিয়েছেন, “টাটাগোষ্ঠীর সঙ্গে আমাদের কোনও শত্রুতা ছিল না। আমরা ওঁদের বিরুদ্ধে কোনওদিন লড়াই করিনি। ওঁরা গোটা বিশ্ব তথা ভারতের তাবড় তাবড় শিল্পগোষ্ঠীদের মধ্যে অন্যতম। ওদের তো দোষ দেওয়া যায় না।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের সমস্যা ছিল বামেদের জোর করে জমি অধিগ্রহণ নীতি নিয়ে। রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য টাটাগোষ্ঠীকে সবসময় স্বাগত জানাই।” শিল্পমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
advertisement
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরে ন্যানো গাড়ির কারখানা গড়তে চেয়েছিল রতন টাটার শিল্পগোষ্ঠী। তৎকালীন বাম সরকারের জমি অধিগ্রহণ নীতির বিরুদ্ধে সেইসময় গর্জে উঠেছিল এলাকার মানুষজন। জমি বাঁচানোর আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তখনকার বিরোধীনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনের জেরে শেষপর্যন্ত বাংলা ছেড়ে গুজরাতে পাড়ি দেয় টাটারা। মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছিল দেশজুড়ে। পরবর্তীকালে সানন্দে কারখানা তৈরি করেছিল টাটারা। এর পর পেরিয়ে গিয়েছে ১৩টা বছর। বিরোধী নেত্রীর কুর্সি ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের উন্নয়ন হলেও বাংলায় শিল্প বিনিয়োগ নিয়ে বরাবরই মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধেছেন বিরোধীরা। সেই বদনাম ঘোচাতে রাজ্যে বিনিয়োগে জোর দিয়েছে তৃণমূল সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শিল্প তৈরি হচ্ছে বলে দাবি করেছে রাজ্যের সরকার। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর টাটাকে স্বাগত জানানোর মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি আন্দোলনের জেরে বাংলা ছেড়ে গুজরাটে চলে গিয়েছিল টাটা। পরবর্তীকালে সেই জমি আন্দোলনে মমতার সর্বক্ষণের সঙ্গী মুকুল রায়ের মতো নেতাকেও পরবর্তী সময়ে বলতে শোনা যায়, ‘সিঙ্গুর আন্দোলন ভুল ছিল’। তবে কী এবার সেই ভুল সংশোধনে নেমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার?