এ দিন ইডি-র আর্জি মেনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, দু' জনেরই ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷ আদালতের নির্দেশের কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রিজন ভ্যানে করে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয় অর্পিতাকে৷ এর পরই পার্থকে প্রেসিডেন্স জেলে নিয়ে যেতে বড় একটি প্রিজন ভ্যান নিয়ে আসা হয়৷ নাটক শুরু হয় এর পরেই৷
আরও পড়ুন: 'আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন, দেখুন জেলে কেমন লাগে!' বিস্ফোরক কুণাল
advertisement
প্রিজন ভ্যান চলে আসার পর বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেলেও আদালত থেকে বেরোননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সূত্রের খবর, উঁচু প্রিজন ভ্যানে উঠতে কষ্ট হবে, এই যুক্তি দিয়েই তাতে উঠতে রাজি হননি প্রাক্তন মন্ত্রী৷ বরং আইনজীবী এবং উপস্থিত পুলিশকর্মীদের ছোট গাড়ি নিয়ে আসার কথা বলেন তিনি৷ সেই মতো খবর যায় লালবাজারের কন্ট্রোল রুমে৷ এই নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য লালবাজারের তরফে আদালত চত্বরে উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ছোট গাড়ির ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়৷ প্রিজন ভ্যানেই উঠতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷
আদালত চত্বরে হাজির অনেকেই অবশ্য বলছেন, শারীরিক সমস্যার সঙ্গে প্রিজন ভ্যানে উঠতে কুণ্ঠা বোধ করছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ পার্থর যাতে প্রিজন ভ্যানে উঠতে সুবিধা হয়, তার জন্য গাড়িটির সিঁড়ির কাছে একটি কোল্ড ড্রিংকসের বোতল রাখার ক্রেট নিয়ে এসে রাখেন পুলিশকর্মীরা৷ যাতে সেটিকে বাড়তি সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন পার্থ৷
এর পরে অবশ্য আর কিছু করার ছিল না প্রাক্তন মন্ত্রীর৷ প্রিজন ভ্যান নিয়ে আসার প্রায় আধ ঘণ্টা পর পুলিশকর্মীদের সাহায্যে আদালতের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ ধরে ধরে তাঁকে প্রিজন ভ্যানে তুলে দেন পুলিশকর্মীরা৷ প্রিজন ভ্যানে উঠেই ভিতরে ঢুকে যান প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী৷ ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছয় প্রিজন ভ্যান৷ আপাতত ১৪ দিন সেখানেই কাটাতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে৷
