শনিবার অসুস্থ বোধ করায় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেখানে শারীরিক পরীক্ষা শেষে বেরোনোর সময়ই সংবাদমাধ্যমের সামনে তৃণমূলের সঙ্গে থাকার বার্তা দেন পার্থ। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের সমস্ত দলীয় পদ থেকেও অপসারিত করা হয়েছে তাঁকে। এরপরও হঠাৎ দলের সঙ্গে থাকার বার্তা দিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: হাইওয়েতে নামল গাড়ির কাঁচ, অনুব্রত যা বললেন, তোলপাড় পড়ল বাংলায়
প্রসঙ্গত, এসএসসি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকার হদিশ পাওয়ার পরই প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিল তৃণমূল। পার্থকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে টুইট করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও সেই টুইট পরে মুছেও দিয়েছিলেন তিনি। তার পরই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি পার্থকে দলীয় সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করার পাশাপাশি সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: অনিয়ম হলেই এফআইআর! প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কড়া রাজ্য, ২২ অগস্টের মধ্যে রিপোর্ট
এদিকে, মন্ত্রিত্ব থেকে তার আগেই পার্থকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী বলেছিলেন, দল ও সরকারের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। গত বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এজলাসে দাঁড়িয়েই পার্থ বলেন, ''কেউ রেহাই পাবে না।'' পার্থর এহেন মন্তব্যের নিশানায় কে, তা নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু সেই মন্তব্যের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভোলবদল করে দলের সঙ্গে থাকার বার্তা দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। কী কারণে পার্থর এই ভোলবদল, তা নিয়েই আপাতত মজে বঙ্গ রাজনীতি।