শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি নেতারা বার বারই হুমকি দিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসেই রাজ্য় রাজনীতিতে বড় কিছু ঘটবে। কার্যত তৃণমূল সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বরে বড় কিছু ঘটতে চলেছে। ঘটনাচক্রে আজই সেই ১২ ডিসেম্বর।
এ দিনই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের একবার পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় সহ অন্য়ান্য় অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হবে। সেই কারণে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে আলিপুর আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। আদালতে ঢোকার সময় বিজেপি-র ডিসেম্বর হুঁশিয়ারি নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে প্রশ্ন করা হয়। সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেন, 'ডিসেম্বর নিয়ে বার বার হুমকি দিচ্ছে, তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে?' জবাবে পার্থ বলেন, 'তৃণমূলের কেউ কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।' এ কথা বলেই পার্থ আদালতের ভিতরে ঢুকে যান।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের বাড়ির কাছেই পরীক্ষাকেন্দ্র, টেট মিটতেই বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
গ্রেফতারির পর থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের পাশ থেকে সরে গিয়েছে দল। তাঁকে মন্ত্রিত্ব তো বটেই, দলীয় পদ থেকেও সরানো হয়েছে। পার্থয় বিরূপ দলনেত্রী এবং মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ও। যদিও গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডল বা নিয়োগ দুর্নীতিতে আর এক অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে নিয়ে এমন কঠোর মনোভাব নেয়নি দল। বরং অনুব্রতকে বীরের সম্মান দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্য়মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আজ সেই ১২ ডিসেম্বর, মিলবে শুভেন্দুর ভবিষ্য়দ্বাণী? বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে
দল তাঁকে দূরে সরিয়ে দিলেও পার্থ অবশ্য় দলেরই পাশে থাকছেন। বার বারই তৃণমূলের হয়ে সওয়াল করে সেই বার্তাই দিচ্ছেন তিনি। এতে অবশ্য় এখনও পর্যন্ত পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের সম্পর্কে তৃণমূলের ঘোষিত অবস্থানে কোনও বদল ঘটেনি।
এ দিনও পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের মন্তব্য় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন,'তৃণমূল মানুষের সঙ্গে আছে, মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে। এটা সারা রাজ্য়ের সবাই জানে। পার্থবাবুর সম্পর্কে মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দল সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এবার সারা রাজ্য়ের মানুষ যা বিশ্বাস করেন, তার সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় সহমত পোষণ করলে এর সঙ্গে দল পাশে আছে কি নেই সে প্রসঙ্গ টানা অযৌক্তিক।'