এবার সেই পদ থেকে নিজেই সরে দাঁড়ালেন পার্থবাবু। গ্রেফতারির পরও এতদিন সেই পদে ছিলে তিনি। ওই পদে পার্থর থাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভিতরে-বাইরে প্রবল চাপ তৈরী হয়েছিল। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও পার্থবাবুকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। অবশেষে শুক্রবার এই পদ থেকে নিজেই সরে দাঁড়ালেন জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মার্চের শুরুতেই ৩৫, আর কটা দিন, আসছে ভয়ঙ্কর গরম! বিরাট পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
advertisement
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর পদে ছিলেন পার্থবাবু। তাঁর আমলেই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন পদাধিকারবলে ১৯৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বোর্ড অফ গভর্নর্স-এর সভাপতি হয়ে বসেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও অনেক সময়ই তাকে বোর্ডের বিভিন্ন বৈঠকে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর। কিন্তু ঐতিহ্যশালী এমন একটি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে জেলবন্দি এক ব্যক্তি থাকেন কী করে, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছিল। অবশেষে শুক্রবার বোর্ড অফ গভর্নর্স-এর বৈঠকে পার্থর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: মেলা থেকে ফেরার পথে ইটভাটায় টেনে নিয়ে যাওয়া হল মহিলাকে, ভয়ঙ্কর কাণ্ড দাসপুরে!
এদিকে জেলে দুই ছিঁচকে চোরের উৎপাতের মুখেও পড়তে হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে আসার পরেই ওই দুই বন্দি চোর তাঁর পিছনে পড়েছেন। কখনও টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে কিংবা কখনও অন্য কোনও বিষয় নিয়ে টিপ্পনি কেটে চলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে। সব মিলিয়ে জেলের মধ্যে বেজায় বিপাকে পড়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।