অশান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘যাদবপুরে ছাত্রদের আন্দোলন বাৎসরিক অনুষ্ঠানের মতো হয়ে গিয়েছে ৷’
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, ‘ভিডিও ফুটেজ চেয়েছি ৷ যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাঁদের চিহ্নিত করা হবে ৷ বিক্ষোভের সময় কোনও ছাত্রী ছিল না ৷ তবুও ছাত্রীরা অভিযোগ জানিয়েছে, তাঁদের মারধর করা হয়েছে ৷ এরকমভাবে চলতে পারে না ৷ দরকার পড়লে মুখ্যমন্ত্রীকে গোটা বিষয়টি জানানো হবে ৷ ’
advertisement
নিজের চেম্বারেই ছাত্রদের দ্বারা আক্রান্ত হন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তাঁকে সন্ধ্যে ৬টায় দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল AMRI তে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের এমারজেন্সি রেজিস্ট্রেশন ফর্মে তিনি জানিয়েছেন, ছাত্রদের ধস্তাধস্তিতে আহত হলেও কোনওরকম পুলিশি নালিশ করতে তিনি আগ্রহী ছিলেন না।
হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, সুরঞ্জন দাসের রক্তচাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। পড়ে যাওয়ায় তাঁর ডান কাঁধ, ছাতি ও হিপ বোনে আঘাত লাগে। এক্স-রে করা হয়েছে। তিনি হাই ব্লাড প্রেশার, ডায়াবিটিসের রোগী। নিয়মিত ওষুধও খান। তাঁকে চিকিৎসকেরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
রাজ্য সরকারের বিজ্ঞপ্তি জারি থাকা স্বত্ত্বেও রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র কাউন্সিল প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে ৷ এমনকী, সঠিক সময়ে হচ্ছে না ছাত্র সংসদ নির্বাচনও ৷ সেই নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ৷ অন্যদিকে, সিসিটিভির দাবিতে পাল্টা অবস্থান করে টিএমসিপি ৷
পড়ুয়াদের শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বৈঠকে বসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল ৷ কিন্তু তা স্বত্ত্বেও সুরাহা মেলেনি ৷ বৈঠক শেষ হতেই ফের ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা ৷