২০২২ সালে চাকরি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পরই তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দল থেকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস৷ প্রায় সাড়ে তিন বছর জেলবন্দি থাকার পর অবশেষে সোমবার জামিন পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তবে এখনও তিনি বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক রয়েছেন৷ ফলে চাইলেই বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী৷ সামনেই বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনও রয়েছে৷
advertisement
এই পরিস্থিতিতে শীতকালীন অধিবেশনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভার অধিবেশনে এলে কোথায় বসবেন, বিধানসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে রাজ্যের পরিষদীয় দফতরের কাছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর৷
এখনও পর্যন্ত যা খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় এলে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের মাঝামাঝি কোথাও তাঁর বসার ব্যবস্থা হতে পারে৷ তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়করা বিধানসভার যে দুই দিকে বসেন, তার মাঝে কোথাও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য আসন বরাদ্দ করা হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে তাঁর নিকটবর্তী বিধায়ক হতে পারেন আইএসএফ-এর নওশাদ সিদ্দিকি৷ কারণ তৃণমূল এবং বিজেপি বাদে একমাত্র নওশাদই এখনও পর্যন্ত বিধানসভায় তৃতীয় কোনও দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন৷ কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হলেও বাইরন বিশ্বাস পরে তৃণমূলে যোগ দেন৷ ফলে তিনিও তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গেই বিধানসভায় বসেন৷
তবে শেষ পর্যন্ত পার্থ বিধানসভায় গিয়ে তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাডা়ন কি না, সেটাই এখন দেখার৷ কারণ ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, ‘সাড়ে তিন বছর যেখানে নষ্ট হয়ে গেল, সেখানে সাড়ে তিন মাসের জন্য বিধানসভায় গিয়ে আর কী হবে?’
