গাড়িতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বেশ হতাশ দেখাচ্ছিল। আজ জামিন চেয়ে আইনজীবী জজ সাহেবকে অনুরোধ করলেও, তাঁর জামিন করাতে পারেনি। পার্থকে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে কোনো লাভ হয়নি। তাঁর এই আইনজীবী বারবার ধরে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জানান বিচারককে তাতেও কোনো কাজ হয়নি।
আরও পড়ুন: পুজোয় সারারাত চলবে মেট্রো! জেনে নিন ইস্ট ওয়েস্ট এবং নর্থ সাউথ মেট্রোর সময়সূচি
advertisement
বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের মধ্যে রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এমনটাই জানান তিনি। তিনি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর আমলেই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। কয়েকদিন আগে শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে জেল হেফাজত থেকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। বৃহস্পতিবার কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পর শুক্রবার তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার পর, তিনজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ শান্তিপ্রসাদ ও অশোক সাহা জিজ্ঞাসাবাদে সমস্ত কিছু এড়িয়ে যাচ্ছে। প্রশ্ন ওই এই তিনজন কার আদেশে ভুঁয়ো নিয়োগ পত্র দিয়েছিলেন?
আরও পড়ুন: শহর জুড়ে 'ডেন থ্রি' আতঙ্ক! পুজোর আগে নয়া উদ্দ্যোগ কলকাতা পুরসভার
ইএসআই হাসপাতালে আনার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং কল্যাণময় গাঙ্গুলির নিখুঁতভাবে শারীরিক পরীক্ষা হয়। তাঁর রক্তের পরীক্ষা থেকে আরম্ভ করে সিজি সমস্ত কিছু করে নতুন করে। তবে পার্থর পা আগে থেকে অনেক বেশি ফুলেছে। হাঁটতে কষ্ট হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে খবর যেহেতু পার্থ বাবুর উচ্চ রক্তচাপ আছে তাই প্রেসারের ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। মোটের ওপর শারীরিক ভাবে পার্থ ও কল্যাণময় সুস্থ রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে দুজনকে রাত্রি ৯টা নাগাদ নিজাম প্যালেসের উদ্দেশ্যে বের হন। ২১শে সেপ্টেম্বর তাঁদের আবার আদালতে তোলা হবে।তারমধ্যে সিবিআইকে তদন্তে অগ্রগতি আনতে হবে। তবে আজ হাসপাতাল থেকে বেরোনোর সময় মুখে হাত চাপা দিয়েছিলেন পার্থ।