য়ো ভি ক্যায়া দিন থে! একটা সময় ছিল যখন ভারী চেহারার, কর্পোটের সংস্থার বসের জীবনে রবিবার নামের একটা দিন ছিল। নিয়ম করে রবিবারের মেনুতে থাকত বাহারি খাবারের আয়োজন। তারপর চাকরি জীবন ছেড়ে পুরোদস্তুর রাজনীতির ময়দানে৷ রবিবাসরীয় প্রাতরাশে থাকত পরোটা, তরকারি৷ কখনও লুচি, সাদা আলুর তরকারি। তবে ভাজাটা মাস্ট! মধ্যাহ্নভোজ করতেন ভাত, ডাল, একাধিক ভাজা, তরকারি ও নেতাজি নগরের এক হোটেলের মাছের মুড়ো দিয়ে৷ কখনও পাঁঠার মাংস৷
advertisement
সূত্রের খবর, সকাল থেকে নাকতলার বাড়িতে দলের বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের ভিড় লেগেই থাকত। তাঁরা আসতেন মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হুগলি বা নদিয়া থেকে। তাঁদের পেট ভরানোর জন্য সেই নেতাজি নগরের ভাতের হোটেল ছিল ভরসা৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ম্যানেজাররা সেই ব্যবস্থা করতেন। অনেক রবিবার ভাত খেতেন না তিনি৷ আর লাঞ্চব্রেক চলে যেত বিকেলের দিকে। রুটি, মটন থাকত তাঁর প্লেটে৷
আরও পড়ুন: জঙ্গলে ঘেরা নবাবহাটে ১০৮ শিব মন্দির গড়েছিলেন মহারানি, এ এক অনন্য ইতিহাস!
আরও পড়ুন: 'বন্দুকবাজ' জওয়ানকে বাগে আনতে শর্ত পালন করতে হয় কলকাতা পুলিশকে, হাড়হিম 'অপারেশন মোজো' অভিযান!
বিধায়ক হওয়ার পর রবিবারে আরও বদল৷ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত থাকতে হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পরোটা-তরকারি-চা খেয়ে বেরিয়ে পড়তেন বেহালার উদ্দেশে। বেহালা পার্টি অফিসেই দুপুরের খাবার সারতেন বিকেলে৷ কখনও রুটি-মটন, কখনও রুটি-চিলি চিকেন৷ সন্ধ্যা হলেই তেলে ভাজা, সিঙারা। সঙ্গে জিলিপিও। দলের এক শীর্ষ নেতা মটন খাইয়েছিলেন তাঁকে, শোনা যায় টানা সাত দিন সেই মটনের গল্প করেছিলেন সতীর্থদের কাছে।
পেশাগত দায়বদ্ধতায় বদলেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের রবিবার। বদলায়নি মটন, মাছের মুড়ো আর বাহারি স্বাদের ভাজার প্রতি ভালবাসা৷ তবে গত কয়েক সপ্তাহে বদলে গিয়েছে সবটাই৷ ইডি হেফাজত থেকে জেল- পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এখন কারাগারে বাটার টোস্ট খেয়ে কাটাতে হচ্ছে।
