জেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পা-ফোলার সম্যসা বাড়ছে, পায়ের পাতা রীতিমতো ফোলা! আর তাতেই বিপত্তি। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, স্নান করার জন্য বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের একই শৌচালয় ব্যবহার করতে হয়। প্রেসিডেন্সি জেলের পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের দু’নম্বর সেল, যেখানে পার্থ আছেন, সেই ওয়ার্ডের সব বন্দির স্নানের জন্য একটি মাত্র শৌচালয়। সেখানে পৌঁছাতে গেলে পার্থকে সেল থেকে বেরিয়ে খানিকটা হেঁটে যেতে হবে। কিন্তু শুক্রবার জেলে আসার পর থেকে সেখানে গিয়ে স্নান করা হয়ে ওঠেনি পার্থর। কারণ? পায়ের ব্যথা। চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, রবিবার পায়ের ব্যথার জন্য তিনি ঠিক ভাবে হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না! কাজেই অপসারিত মন্ত্রীর স্নানের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হল! তাঁর ওয়ার্ডের সামনে একটি বড় ড্রামে জল দেওয়া হয়, সেই ড্রাম থেকে প্লাস্টিকের মগে জল তুলে প্রাক্তন মন্ত্রী স্নান সারেন কোনওক্রমে। একটি অতিরিক্ত তোয়ালেও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
advertisement
আরও পড়ুন: জেলে ঢুকেই ফুলতে শুরু করেছে পার্থর পা! এবার কি তবে হাসপাতাল? ছড়াচ্ছে জল্পনা
শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়ার পর পার্থকে রাখা হয়েছে পয়লা বাইশ ওয়ার্ডের ২ নম্বর সেলে৷ ছোট্ট সেই সেলে নিয়ম মতো রাতে শোয়ার জন্য চারটি কম্বল পেয়েছিলেন পার্থ৷ কিন্তু প্রত্যাশিত ভাবেই রাতে সেই বিছানায় শুয়ে ঘুম আসেনি প্রাক্তন মন্ত্রীর৷ জেলের প্রথম রাতে তাঁকে ঘুমোতে দেওয়া হয়েছিল মেঝেতে। কিন্তু গোটা রাত জেগে কাটিয়েছেন পার্থ। অবশেষে জেলে ঘুমনোর জন্য খাট পেয়েছেন তিনি। কিন্তু পা ফোলার সমস্যা মেটেনি!
জেল সূত্রে খবর, হাঁটাচলা কমে গিয়েছে বলে পায়ে ফোলা ভাব দেখা যেতে পারে। পাশাপাশি, স্থূলতার কারণেই মাটিতে বসা কষ্টকর পার্থর পক্ষে৷ কিন্তু প্রথমে সেই সেলে খাট তো দূরে থাক, কোনও চেয়ারও ছিল না৷ সেলের শৌচাগারে ছিল কমোড৷ সূত্রের খবর, জেলবাসের প্রথম রাতের বাকি সময়টুকু সেই কমোডের উপরে বসেই কাটাতে হয় একদা দোর্দণ্ডপ্রতাপ মন্ত্রীকে৷ সেই কারণেই তাঁর পা ফোলা বাড়তে পারে বলে অনুমান চিকিৎসকদের।
