সেই প্রসঙ্গেই ঘনিষ্ঠ মহলে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''ওটা অলঙ্কার ছিল না, ধর্মচারণের অংশ ছিল। আমি ব্রাহ্মণ বাড়ির ছেলে। ইডি অফিসের ৬ তলায় ঠাকুরের ছবি আছে। ওরা যদি ধর্মাচরণ করতে পারে, আমি পারব না? ইডি তো আমার আংটি খোলায়নি।'' এরপরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন পার্থবাবু। বলেন, ''অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ড্রাইভিং ফোর্সের নেতা। আমরা গাইডিং ফোর্সের নেতা।''
advertisement
আরও পড়ুন: আদালতে ফিরহাদ-শোভন চট্টোপাধ্যায়রা! কী ঘটল এমন? ৩১ জুলাই ফের হাজিরার নির্দেশ
পার্থর আইনজীবীও এদিন আদালতে সওয়ালে বলেন, ''সৌমিত্র সরকারকে নাকি আমি ষড়যন্ত্র করে সরিয়ে দিয়েছি। শর্মিলা মিত্র, পর্ণা বসু নাম রয়েছে। এদেরকে আমি সরিয়ে দিয়েছি এটাই অপরাধ। ৩ জনের নাম বলা হয়েছে চার্জশিটে। যারা অভিযুক্ত, যাদেরকে আমি সরিয়ে দিয়েছিলাম ও আমি এমআইসি হয়েছিলাম এটাই আমার দোষ। আট মাস আমি সিবিআই কাস্টডিতে আছি। অথচ আমাকে ৭ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
আরও পড়ুন: এবার গঙ্গার নীচ দিয়ে পূর্ণ গতিতে ছুটল মেট্রো! টানেল পেরোতে কত সময় লাগল? শুনলে চমকে যাবেন
তবে, এদিনের শুনানিতে সকলের নজর ছিল পার্থবাবুর হাতের আঙুলের দিকেই। এদিন অবশ্য আংটি খুলে আসেন প্রাক্তন মন্ত্রী। গত বুধবার আদালতের সওয়াল জবাবে আসলে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করতে চেয়েছিল ইডি৷ ইডির আইনজীবী প্রথমেই আদালতে বলেন, ‘ক্যামেরার সামনে পার্থবাবুর হাত দুটো দেখাতে বলবেন?’ বিচারক তারপর বলেন, ‘পার্থ বাবু হাত দুটো দেখাবেন? তালু দেখাবেন? রিভার্স সাইড প্লিজ’… তার পর আদালতে ইডির আইনজীবীদের তরফ থেকে বলা হয়, ‘দেখতে পেলেন হাতে আংটি। হেফাজতে থাকাকালীন কোনও অরনামেন্ট পরতে পারেন না বন্দি। উনি এতটাই পাওয়ার ফুল (প্রভাবশালী) যে উনি অরনামেন্ট পরে আছেন… এতটাই পাওয়ারফুল!’
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের প্রশ্ন করে আদালত৷ তিনি কী জানতেন না, সংশোধনাগারে প্রবেশের সময় এগুলো খুলে রাখতে হয়৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তিনি জানতেন না৷ তাঁকে কেউ জানাননি৷ যদিও তারপর আদালত জানায়, এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই, বিচলিত হওয়ারও কিছু নেই৷ পাশাপাশি, এই ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ চেয়েছে আদালত৷ আগামী ২৬ এপ্রিল প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের সুপারকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ সশরীরে হাজিরার পাশাপাশি তাঁর কাছে লিখিত আকারে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে, জেল কোড মেনে কর্তব্য ও দায়িত্ব পালনে তিনি কতটা সচেতন।