তবে, বুধবার যেন একটু হলেও আশার আলো দেখতে পেলেন প্রাক্তন মন্ত্রী৷ এদিন খানিক তাঁর পক্ষ নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইডি-কে বললেন, ‘‘অনির্দিষ্টকালের জন্য কাউকে হেফাজতে রাখা যায় না। ১ বছর ৭ মাস জেলে আছে। গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু কতদিন ?’’
advertisement
সূত্রের খবর, এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে ১ বছর ৭ মাস। বিচার প্রক্রিয়া (ট্রায়াল) কবে শুরু হবে? জানি এটা নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত, তবে সময় অনেক পেয়েছে ED। এবার ইডি কে জানাতে হবে।’’
এরপরেই, ইডি স্পেশাল ডিরেক্টরের রিপোর্ট তলব করেন বিচারপতি। পাশাপাশি, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ED-কে এবিষয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। কবে থেকে ইডি আদালতে বিচারপর্ব শুরু করা সম্ভব? জানাতে হবে রিপোর্টে। তেমনটাই নির্দেশ আদালতের৷ প্রসঙ্গত, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও পড়ুন:সন্দেশখালি কি আদৌ যেতে পারবেন শুভেন্দু? আদালতে জোর সওয়াল-জবাব, কী যুক্তি দিল রাজ্য?
বাম জমানায় বিরোধী দলনেতা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রথমসারির নেতা হিসেবেই পরিচিত হন তিনি। ছিলেন দলের মুখ্যসচিব৷ শিক্ষা দফতর, শিল্প দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন একসময়। শুধু তাই নয়, তৃণমূল শিবিরেও তাঁর জায়গা ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই চলছিল চাপান উতোর। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের পরে অবশেষে গ্রেফতার হতে হয় পার্থকেও। ২২ জুলাই, ২০২২ সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেন ইডি-র আধিকারিকরা। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধরে পার্থর বাড়িতে ম্যারথন তল্লাশি চালান তাঁরা। পার্থর উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়াতেই ২৩ জুলাই, ২০২২ তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।