মুর্শিদাবাদের লালগোলায় গত সেপ্টেম্বর মাসে আত্মহত্যা করেন আবদুল রহমান। তিনি গ্রুপ ডি পদে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, আত্মহত্যার পর ঘটনার একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়। ওই সুইসাইড নোটে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ কারা কারা এই নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্রে অর্থ নিয়েছিলেন সেই তালিকার উল্লেখ ছিল। সেখানে বলা হয়েছিল চাকরির পেতে হলে দিতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা।
advertisement
আরও পড়ুন: আর লাউডস্পিকারে হবে না ঘোষণা, বিখ্যাত এই রেলস্টেশন হয়ে গেল 'নিঃস্তব্ধ'! চমকে উঠবেন
নিয়োগ তদন্তে সিবিআই তদন্ত চালালেও আবদুল রহমানের মৃত্যুর তদন্তে চার্জশিট পেশ করে লালগোলা থানার পুলিশ। ওই চার্জশিটে আবদুল রহমানের নামের উল্লেখ রয়েছে। আইনজীবীর দাবি, মৃত ব্যক্তির নামেই চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ। তদন্ত সঠিকভাবে হয়নি বলে দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন: পরীক্ষা শুরু হতে আর কটা দিন, তার আগেই সব শেষ! হস্টেলে পড়ে ছাত্রীর দেহ
প্রসঙ্গত, আবদুল রহমানের সুইসাইড নোটে দিবাকর কনুই নামে এক ব্যক্তির নাম ছিল। সেই দিবাকর কনুইকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত সেই নিয়ে দিবাকরকে জিজ্ঞাসাবাদ না করায় আগের শুনানিতে আদালত তদন্তকারীদের উদ্দেশে প্রশ্ন করে বলেন, কেন দিবাকর কনুইকে জেরা করছেন না? আদালতের পর্যবেক্ষণ মামলায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের যোগ রয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনার সঙ্গে যুবকের আত্মহত্যার যোগ রয়েছে বলেও ধারণা আদালতের। এবার শেষমেশ সেই মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। ফলে আরও চাপে পড়লেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।