পার্থ-অর্পিতার সম্পর্কের গভীরতা কতটা তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুললেন খোদ বিচারপতিও। আদালত জানতে চায়, ‘অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে এই বিশাল অঙ্কের টাকা ও সোনার গয়না এল কোথা থেকে? তাহলে কি শিক্ষা দফতরকের সঙ্গেও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সুসম্পর্ক ছিল নাকি পার্থ অর্পিতার সম্পর্কের গভীরতা বা বিশ্বাসযোগ্যতা এতটাই গভীর ছিল যে ভরসা করে অর্পিতার বাড়িতে শিক্ষা দফতরের টাকা রাখা হয়েছিল!’
advertisement
আরও পড়ুন: দামি দামি মশার তেল-ধূপ বাদ দিন, পাতিলেবুতে ‘এই’ জিনিসটি জ্বালান! মশার বংশ খুঁজে পাবেন না
এই প্রশ্ন তুলে আগামী ১২ মার্চ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিন ধার্য করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। আগের শুনানিতে আদালতে ইডি অভিযোগ করে, ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কাজ করতেন। গোয়া এবং থাইল্যান্ডে অর্পিতার সঙ্গে স্নেহময় দত্তকে পাঠিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই দুজনের মধ্যে কী সম্পর্ক ছিল আমি জানি না, কিন্তু স্নেহময় দত্তর বক্তব্য পুরোটাই আদালতের সামনে রাখলাম। এখান থেকেই তাঁদের মধ্যে কী সম্পর্ক ছিল সেটা স্পষ্ট হয়। অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই দুর্নীতির কিংপিন। আমরা বলছি অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রকৃতপক্ষে এই দুর্নীতির রানি। স্বাধীন ভারতবর্ষের ইতিহাসে এটা প্রথম হয়েছে যে ৫৪ কোটি টাকা তাঁদের নয় বলে দু’জন নিজেদের মধ্যে মারামারি করছেন। দু’জনেই বলছেন এটা আমার নয়, অপরজনের।’
আরও পড়ুন: শিবরাত্রি পালন কবে, শুক্র না শনি? চার প্রহরে কীভাবে করবেন পুজো? আশীর্বাদ পেতে জানুন বিশেষজ্ঞের মত
গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্ট ইডি-র আইনজীবীর দাবি ছিল, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়-সহ একাধিক ব্যক্তিকে দুর্নীতি সংগঠিত করতে ব্যবহার করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিশু দত্তক নেওয়ার জন্য অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কিছু হলে শিশুটির দায়িত্ব তিনি নেবেন। সেটা ছেলেই হোক আর মেয়েই হোক। ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু থেকে কাকুতে পরিণত হয়েছিলেন পার্থ।
অর্ণব হাজরা