বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে কেএমসি পার্কিং অ্যাপের উদ্বোধন হয়। পস মেশিনের মাধ্যমেই হবে পার্কিং ফি আদায়। উদ্বোধন করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল সহ কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পৌুসভার আধিকারিকরা।
শহর জুড়ে বেআইনি পার্কিং, অতিরিক্ত ফি আদায়ের মতো একাধিক অভিযোগ বারেবারে জমা পড়ছিল কলকাতা পুরসভার কাছে। এই অব্যবস্থা রুখতে লাগাতার প্রচার করেও কোনও সুরাহা হয়নি। অবশেষে এবার পাকিং সংক্রান্ত অভিযোগ কমাতে আধুনিকতার পথে হাঁটল কলকাতা পুরসভা।ভাবনাটা প্রথম আসে কলকাতা পুরকমিশনার বিনোদ কুমারের মাথায়। আইটি বিশেষজ্ঞ বিনোদ কুমার আলোচনা করেন মেয়রের সঙ্গে। তৈরি হয় কলকাতা পুরসভার আধুনিক পার্কিং অ্যাপ।
advertisement
আরও পড়ুন: কাশ্মীর ফাইলস থেকে গাঙ্গুবাই, অস্কার নমিনেশনের জন্য যুদ্ধে একাধিক ভারতীয় ছবি!
আরও পড়ুন: ট্রেলার মুক্তি পেতেই ১ মিলিয়ন ভিউ! বনবাস ছেড়ে পাঠানের ধমাকা! বিতর্কের মাঝে বাদশার অ্যাকশন
নতুন এই অ্যাপের মাধ্যমে কলকাতা পুরসভার সঙ্গে কলকাতা পুলিশ একযোগে পার্কিং সমস্যার সমাধান করবে। প্রত্যেক পার্কিং জোনে বসবে ডিজিটাল বোর্ড। কোন গাড়ির কত টাকা প্রতি ঘণ্টার ফি, তা এবার জ্বলজ্বল করবে পার্কিং লটের ইলেকট্রনিক বোর্ডে। ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড কিংবা বারকোড স্ক্যান করে মেটাতে হবে পার্কিং ফি। 'ই-পস' সিস্টেম অর্থাৎ মেশিনের মাধ্যমে পার্কিং লটে বিল প্রদান হবে। বুধবার পার্কিং এজেন্সিরগুলোর মধ্যে এই ধরনের ১২৫ টি মেশিন বিতরণ করা হয়। যারা আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ৬১টি এরিয়াকে আপাতত বেছে নেওয়া হয়েছে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে কলকাতা পুরসভা মানুষের হয়রানি কমাতে চাইছে৷ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেমন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে হয়রান হতে হবে না, অন্যদিকে রাত হলে ২০০-৫০০ করে পার্কিং ফি চাইবে এমন আশঙ্কাও থাকবে না। কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, কলকাতা পুরসভা ও কলকাতা পুলিশ যৌথভাবে এই ব্যবস্থা করেছে। এতে সাধারণ মানুষ আগে থেকেই জানতে পারবেন কোন পার্কিং লটে জায়গা খালি আছে।
বিনোদ কুমার আরও জানান, কোন পার্কিং লটে কটা গাড়ি রাখার জায়গা আছে, তা পুরসভার বিভাগীয় সার্ভারে থাকছে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পার্কিং লটে কোনও গাড়ি ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে তা সার্ভারে নথিভুক্ত হয়ে যাবে। যখন বের হবে সেই সময়টিও সার্ভারে ধরা পড়বে। সেই অনুযায়ী ই-পস মেশিনে ডিজিটাল ব্যবস্থায় স্লিপ জেনেরেট হবে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট অর্থই দিতে হবে। ফলে পার্কিং ফি তে কারচুপি করার সুযোগ আর থাকছে না।কলকাতা পুরসভার মেয়র পরিষদ দেবাশিস কুমার জানান, একদিকে যেমন স্বচ্ছতার সঙ্গে কালেকশন হবে অন্যদিকে নির্দিষ্ট পার্কিং লটে যে কয়েকটি গাড়ি নথিভুক্ত রয়েছে রাখার জন্য তার থেকে অতিরিক্ত গাড়ি পার্কিং করা যাবে না৷
আরও পড়ুন: পানশালার গায়িকাকে ফ্ল্য়াটে ডেকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, কসবায় ধৃত ব্য়ান্ডমাস্টার
কলকাতা শহর জুড়ে পুরসভার অনুমোদনপ্রাপ্ত পার্কিংজোন রয়েছে। বিভিন্ন বেসরকারি এজেন্সি এইসব পার্কিং লটের দায়িত্বে রয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে এই লটগুলি এজেন্সিগুলোকে দিয়ে থাকে পুরসভা। নিয়ম অনুযায়ী, পুরসভার ধার্য করা পার্কিং ফি-র তালিকা পার্কিং জোনগুলিতে টাঙিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, এজেন্সিগুলি এই নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। বরং ধার্য করা ফি-র থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছিল কোথাও কোথাও, সম্প্রতি এমন অনেক অভিযোগ জমা পড়ছিলো পুর কর্তৃপক্ষের কাছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার জানান, আপাতত এই স্মার্ট পার্কিং জোনে শুধুমাত্র চার চাকার গাড়ির পার্কিংয়েরই ব্যবস্থা থাকছে৷ বাইক পার্কিংয়ের জন্য এখনই এই সিস্টেমে কোন কাজ হবে না।