গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে রুম বুকিংয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট বেনিয়ম হয়েছে। তাঁদের দাবি, তদন্তে এমন কয়েক জন মহিলার নাম প্রথমে তাঁরা পান, যাঁদের নামে রুম বুক করেছিল ওই এজেন্সি। কিন্তু ওই নামগুলোর সূত্র ধরে মহিলাদের খোঁজ করে দেখা যায় এমন কোনও মেয়ের উপস্থিতি ওই দিনের পার্টিতে ছিল না। এই জায়গা থেকে অনৈতিক কাজের সন্দেহ করছে পুলিস।
advertisement
এমনকি রুম বুকিং থেকে পার্টি সবটা জুড়েই বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে। তা নিয়েও হোটেলের কাছে জানতে চাইবেন তদন্তকারী অফিসারেরা। চলতি সপ্তাহে হোটেলের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিস। একাধিক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। ধরা পড়েছে অসঙ্গতিও। তাই আগামী সোমবার হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার, ফ্লোর ম্যানেজার সহ মোট ১০ জনকে তলব করা হয়েছে লালবাজারে।
গত শনিবার রাতে ওই অভিজাত হোটেলে দশটি রুম বুক করা হয়েছিল। লাউড স্পিকার ডিজে সহযোগে চলছিল পার্টি। সেখানে অভিযান চালিয়ে ৩৭জনকে গ্রেফতার করা হয়। রুম বুক করে পার্টির আড়ালে কী চলত? তা নিয়েও তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে মাদক যোগের তথ্য সামনে এসেছে। পাশাপাশি পার্টির আড়ালে অসামাজিক ও অনৈতিক কাজ চলত বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। কলকাতা পুলিসের পাশাপাশি আগারি দফতরও খোঁজ খবর শুরু করেছে।
অমিত সরকারের প্রতিবেদন