সোমবার হোটেল কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মীদের এদিন তলব করা হয়েছিল। এদিন মোট ১০জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে যারা পুলিস হেফাজতে রয়েছে, তাদের বয়ান নিয়েছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। সেই সূত্র ধরেই হোটেলের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেই খবর।
করোনা বিধির জন্য পানশালা ও নাইটক্লাব বন্ধ। তাই গ্রাহকদের বিনোদনের জন্য নিজেরাই বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম বদলে ফেলেছিল হোটেল কর্তৃপক্ষ, জিজ্ঞাসাবাদের উঠে এসেছে। এমনকি সেই প্রমাণও হাতে পেয়েছে পুলিস। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য, কোনও এক জনের নামে রুম বুক হয়েছে, কিন্তু সেই ব্যক্তির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
advertisement
এখানেই গোয়েন্দাদের প্রশ্ন, এমন বেআইনি কাজ করা হল কেন? কার নির্দেশে হয়েছে? এই রকম কিছু প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা তদন্তকারীদের কাছে। তাই এই ১০জনকে ফের তলব করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে ডেকে পাঠাতে চলেছে লালবাজার।
তবে পার্টিতে মদ সরবরাহ থেকে বিনোদনের ব্যবস্থা করা সবটাই হোটেলের তরফে হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদের উঠে এসেছে ।ইতিমধ্যে গোয়েন্দারা পার্টির আয়োজকদের চিহ্নিত করেছে। তাদেরকেও তলব করা হয়েছে আগামী দিনে। এমনকি হোটেলের নৈশপার্টিতে মাদক যোগের তথ্য হাতে এসেছে। মাদক কাদের মাধ্যমে হোটেলে ঢুকত, সেই বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। শুধু মাদক চক্র নয়, অনৈতিক কার্যকলাপও চলত। তা নিয়েও খোঁজ খবর শুরু হয়েছে। এর নেপথ্যে কোনও হোটেল কর্মী যুক্ত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস। একটা বড় চক্র কাজ করত বলে তদন্তে উঠে এসেছে। কারা এই চক্রে জড়িত, শুরু হয়েছে খোঁজ।
-Amit Sarkar