এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ম্যারাথন সিবিআই জেরার মুখোমুখি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। শুক্রবার একটানা প্রায় সাড়ে নয় ঘণ্টা তাঁকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছিলেন মন্ত্রী তনয়া অঙ্কিতা, সেই তথ্যের খোঁজে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : ৭ বছর পর মুক্তি! মেয়ে শিনা বোরার হত্যাকাণ্ডে অবশেষে জামিন ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের
advertisement
শুক্রবার সকাল দশটা চল্লিশ নাগাদ নিজাম প্যালেসে আসেন পরেশ অধিকারী। এদিন সকালে তাঁকে তলব করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা পরেশ অধিকারীর কাছ থেকে জানতে চান কীভাবে প্রথম মেধা তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও চাকরী পান? মন্ত্রীকন্যাকে চাকরি পাওয়ার নেপথ্যে আরও বহু লোক জড়িত রয়েছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই মধ্যস্থতাকারীর খোঁজে তৎপর সিবিআই আধিকারিকরা। এই দুর্নীতির বিষয় ফের শনিবার সকাল এগারোটায় ফের সি বি আই আধিকারিকরা ডেকে পাঠিয়েছেন পরেশ অধিকারীকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর। অভিযোগ, মেধা তালিকায় না থেকেও মন্ত্রীর মেয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি অনুপস্থিত ছিলেন ইন্টারভিউতেও। প্রথম প্যানলে থাকা ববিতা সরকার নামে এক পরীক্ষার্থী মামলা করেছিলেন। ববিতার দাবি, তাঁর চেয়ে নম্বর কম ছিল মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। তারপরেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি ববিতা। অথচ ২০১৮ সাল থেকে মেখলিগঞ্জের একটি স্কুলে চাকরি করছেন অঙ্কিতা। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থী ববিতা। সেই মামলাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। শুক্রবার হাই কোর্ট নির্দেশ দেন মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতার চাকরী থেকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার। দুই কিস্তিতে সমস্ত বেতনের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
প্রতিবেদন : ওঙ্কার সরকার