মারপিটের সেই ঘটনার পর প্রথমে ওই তরুণীর পরিচয় প্রথমে পাওয়া যায়নি৷ পরে জানা যায়, ওই তরুণী নাম ইশা কর৷ তিনি সোদপুরের ঘোলা এলাকার বাসিন্দা৷ দলের রোষে পড়ার পরই তৃণমূল কাউন্সিলরও বিষয়টি মিটমাট করতে উদ্যোগী হন শ্রাবন্তী দেবী৷ খুঁজে বের করা হয় ওই তরুণীকে৷ এর পর এ দিন ওই তরুণীকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন শ্রাবন্তী রায়৷ কয়েকদিন আগে প্রবল আক্রোশে পরস্পরের চুলের মুঠি ধরার পর এ দিন দু জনে দু জনকে মিষ্টিমুখও করান৷
advertisement
আরও পড়ুন: বিমানের ভাঙা লেজের ভিতরে ওটা কী আটকে, তদন্ত করতে গিয়েই শিউরে উঠল এনএসজি!
কয়েকদিন আগে পানিহাটিতেই স্কুটিতে করে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী৷ পিছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন শ্রাবন্তীদেবী৷ তখনই দু জনের মধ্যে বচসা এবং মারামারির সূত্রপাত৷ শ্রাবন্তী দেবীর অভিযোগ ছিল, বেপরোয়া ভাবে স্কুটি চালাচ্ছিলেন ওই তরুণী৷ তার প্রতিবাদ করাতেই তরুণী গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ৷ এর পরই তরুণীকে চড় মারেন শ্রাবন্তীদেবী৷ দু জনের মধ্যে তুমুল মারপিট শুরু হয়ে যায়৷ ভাইরাল হয় ঘটনার ভিডিও৷
সেই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে শ্রাবন্তী দেবী এ দিন বলেন, ওই দিনের ঘটনার আকস্মিকতায় আমি সত্যিই মর্মাহত৷ এ ভাবে নিজের মাথা গরম হয়ে যাবে বুঝতে পারিনি৷ মুহূর্তের মধ্যে মাথা গরম হয়ে যা করার করে ফেলেছি৷ আমার আরও সংযমী হওয়া উচিত ছিল৷ গাড়ি চালানো নিয়ে এরকম ঘটনা রাস্তাঘাটে আকছার ঘটে৷ আমাকে এবং আমাদের দলকে বদনাম করতে এই ঘটনাকে অন্যভাবে প্রচার করেছে৷ ও আমার কন্যাসম৷ ওকে বলব ভবিষ্যতে আরও সতর্ক থাকতে৷
শ্রাবন্তীদেবীর সুরেই ইশা কর নামে ওই তরুণী বলেন, রাস্তার ঘটনা রাস্তায় মিটে গিয়েছে৷ উনি আমার মায়ের মতো৷ আমারও কিছু ভুল ছিল, ওনারও ছিল৷ আমি এটা নিয়ে আর কোনও পদক্ষেপ করতে চাই না৷