ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার, সবুজ সাথী, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্পের সুবিধা বোঝান। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে তৃণমূল কংগ্রেস গোটা রাজ্যে একাধিক উন্নয়নমূলক স্কিম চালু করেছে। সেই সব প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের বহু মানুষ পান বলে দাবি করে তৃণমূল। উন্নয়ন মূলক ইস্যুকেই তাই হাতিয়ার করেই গ্রাম দখলের লড়াইয়ে নামবে তৃণমূল কংগ্রেস।
advertisement
আরও পড়ুন: ভয় দেখাচ্ছে ডেঙ্গি, রাজ্যে একইসঙ্গে দাপট 'ডেঙ্গি ২' ও 'ডেঙ্গি ৩'-এর, উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরা
সূত্রের খবর, মহিলা শাখার নেত্রীবৃন্দদের বৈঠকে পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মানুষকে বোঝান, এই সরকার তাদের হাতে তাদের প্রাপ্য তুলে দিয়েছে৷ তাদের সুবিধা দিয়েছে। প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়েছে৷ তাই বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর ভরসা বা বিশ্বাস না করে তাদের প্রতিই আস্থা দেখাতে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, শিক্ষক নিয়োগ দূর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধীরা বারবার কোনঠাসা করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তাই এখন থেকেই উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই মানুষের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।লক্ষ্য রাজ্যের মহিলা ভোট।
তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেছে নয়া মহিলা সাংগঠনিক কমিটি। পঞ্চায়েতের আগেই ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল। গঠন করা হল ৪৪ জনের নয়া কমিটি। জেলা কমিটিতেও একাধিক বদল আনা হল। লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, পঞ্চায়েতের মহিলা আসন সংরক্ষণের মতো ইস্যু নিয়ে ঘরে ঘরে যাবে কমিটি। আগামী সপ্তাহেই ডাকা হচ্ছে বিশেষ বৈঠক। ৫ মে থেকে জনসংযোগ শুরু করবেন মহিলা কমিটির সদস্যরা। বিরোধীদের জবাব দিতে হাতিয়ার লক্ষ্মী ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী।
এদিন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘‘মহিলাদের জন্যে একাধিক প্রকল্পে মর্যাদা দেওয়ার কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত স্তরে ৫০% আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর দ্বারা রাজনৈতিক সম্মান পেয়েছে মেয়েরা৷ সামাজিক সম্মানের জন্যে ২০১৬ সালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প আনা হয়েছিল। মহিলাদের জন্যে এই সম্মান দেওয়া হয়েছিল। এরকম স্কিম কোথাও নেওয়া হয়নি। অর্থনৈতিকভাবে মহিলাদের স্বাবলম্বী করা হোক। সেই কারণেই ২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করা হয়। সামাজিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে কেন্দ্র যখন ব্যর্থ। তখন রাজ্য সেটা করে দেখিয়েছে ৷ মেয়েরাও তার প্রতি আস্থা দেখিয়েছে।’’