কলকাতায় বিজেপির সল্টলেকের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ‘মানুষ যেভাবে শাসকদলের একের পর এক দুর্নীতি দেখছে তাতে গ্রাম বাংলার মানুষ তৃণমূলকে আর ক্ষমতায় ফেরাতে চাইছে না। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই। ওরা তা বুঝে গিয়েছে। তাই এবারও সন্ত্রাস করে ভোট লুঠ করতে চাইছে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করব।’
advertisement
আরও পড়ুন – UEFA Champions League: ইস্তানবুলে ইতিহাস, পেপের হাত ধরে ইউরোপ সেরা ম্যান সিটি
বঙ্গ পদ্ম সেনাপতি সুকান্ত মজুমদার এও বলেন, ‘গতবারের থেকে আমরা এবারের পঞ্চায়েত ভোটে অনেক বেশি আসনে জয়ী হব৷’ রাজ্য সরকার, শাসক দল এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকেও তোপ দেগে সুকান্ত কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই। তাই মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে বাধা দিলে আমরা চুপ করে বসে থাকবো না।’
আরও দেখুন
বলাবাহুল্য, রাজ্যজুড়ে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতে দ্বিতীয় দিনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নিরিখে প্রথম দিনের পর শাসক দল তৃণমূল এবং অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের প্রার্থীদের চেয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিনেও বেশি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। এই পরিসংখ্যানে রীতিমতো উজ্জীবিত গেরুয়া শিবির। তবে এ প্রসঙ্গে শাসকদলের খোঁচা,’ অপেক্ষা করুন। ভোটের ফলাফলের পরিসংখ্যানে বিরোধীদের সব হিসেব নিকেশ উল্টে যাবে’। সব মিলিয়ে মনোনয়ন এবং পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক চর্চায় রীতিমত সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। তবে গ্রাম বাংলার মানুষের সমর্থন কার দিকে? এই প্রশ্নের উত্তর দেবে সময়ই।
Venkateswar Lahiri