এমনকী, একটি মহিলা আসনের জন্য একাধিক জন দাবিদার হয়ে উঠছেন। এবারও বিপাকে নেতারা। আগে হন্যে হয়ে খুঁজতে হত। এখন অনেকের মধ্যে একজনকে একটি আসনে চূড়ান্ত করতে গিয়েও সমস্যায়। পূর্ব বর্ধমান জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ৩২৩৪টি। তার অর্ধেক অর্থাৎ ১৬১৭টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই ১৬১৭টি আসনের জন্য কম করে তিন হাজার জন মহিলা প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন- লক্ষ্য মহিলা ভোট, আজ বিশেষ বৈঠকে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস
স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে আসনের প্রায় দ্বিগুণ মহিলা চাইছেন পঞ্চায়েতের সঙ্গে যুক্ত হতে। একইভাবে পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রেও মহিলাদের দ্বিগুণ দাবিদার। শাসক দলের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে মহিলাদের যতটা আগ্রহ, বিরোধীদের ক্ষেত্রে অবশ্য ততটা নয়। তৃণমূলের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নারীশক্তির বিকাশে যেভাবে পদক্ষেপ করেছেন এটা তারই সুফল। মহিলাদের নিরাপত্তা, নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেওয়া, শিক্ষার আঙিনায় টেনে আনতে বিশেষ বিশেষ প্রকল্প চালু করা-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ এইভাবে মহিলাদের আরও বেশি সংখ্যায় রাজনীতির আঙিনায় আসতে অনুপ্রাণিত করেছে।
আরও পড়ুন- পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট, বিজেপির ‘নভেম্বর বিপ্লব’! রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে পদ্ম ব্রিগেড
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘‘সরকার গঠনের ক্ষেত্রে মহিলাদের ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। মহিলা সংগঠন আমাদের শক্তিশালী। লক্ষ লক্ষ মহিলা যুক্ত। ২৩ প্রশাসনিক জেলায় আমাদের সাথে সংযুক্ত। আমাদের সংগঠন শক্তিশালী। আমাদের সংগঠন শক্তিশালী করতে ৪৪ জনের নতুন কমিটি গঠন করা হল। বেশ কিছু জেলায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সাংগঠনিক ৩২ জেলায় নয়া সভাপতি। পাহাড়ের শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। ভারসাম্য রক্ষা করে এগোনো হয়েছে। এই সংগঠন আরও বিস্তার করা হবে। ঝাড়গ্রামে বিশেষ দায়িত্বে আনা হয়েছে বীরবাহা হাঁসদাকে। কালিম্পং জেলায় দায়িত্বে এসেছেন সাংসদ শান্তা ছেত্রী। এক্সিকিউটিভ হিসাবে সব মহিলা মেয়র, মহিলা চেয়ারপার্সন, ভাইস চেয়ারপার্সনদের নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে মিটিং হবে সকলকে নিয়ে। ৫ মে থেকে জনসংযোগের রুপরেখা জানিয়ে দেওয়া হবে সেখানে। এই সব সদস্যরা এই তিন ইস্যু নিয়ে পৌঁছবেন।’’