এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে বিজেপি। শীর্ষ আদালত মামলা ফিরিয়ে দেয় হাইকোর্টেই। এরপর, উচ্চ আদালতের সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চ ঘুরে দীর্ঘ সময় পর জট কাটে। কিন্তু, আদালতে ভোট নিয়ে টানাপোড়েনে মুখ পোড়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্র সিংয়েরও। অতিরিক্ত মনোনয়নের দিনও ধার্য করা হয়। শুরু হয় নির্বাচন। উত্তর থেকে দক্ষিণ। ভোটের দিনও বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
advertisement
অবশ্য, চৌত্রিশ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জিতেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তা নিয়ে বিরোধীরা কোর্টে গেলেও, শেষপর্যন্ত ধোপে টেকেনি। ফল বেরোতেই যথারীতি রাজ্য জুড়ে সবুজ ঝড়। অনেক পিছিয়ে থেকে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে। প্রায় মুছে যায় বাম ও কংগ্রেস।
জেলা পরিষদে ৮২৫ আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ৭৯২
বিজেপি পায় ২৩ আসন, কংগ্রেস পায় মাত্র ৬ আসন, বামেরা পায় মাত্র ১ আসন ৷
পঞ্চায়েত সমিতিতেও পঞ্চায়েত সমিতির ৩৩০ আসনের মধ্যে তৃণমূল পায় ৩০৭, বিজেপি পায় ১০ আসন, কংগ্রেস পায় মাত্র ১ আসন ৷
এক নজরে গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের ফল
গ্রাম পঞ্চায়েতের ফলাফল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২ হাজার ৯৩৪ আসনে তৃণমূল পায় ২ হাজার ৬৭৯ আসন, বিজেপি পায় ২০২ আসন, বামেরা পায় মাত্র ২৪ আসন, কংগ্রেস পায় মাত্র ১৩ আসন ৷
শাসকদলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। তবে পঞ্চায়েত ভোটে সেভাবে কামড়ই দিতে পারেনি বিরোধীরা। বরং, তৃণমূল কংগ্রেসের চুরানব্বই শতাংশ আসন জয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় বাম, বিজেপি ও কংগ্রেস।
তবে যাই হোক না কেন রাজ্যজুড়ে সবুজ ঝড়ে খড়কুটোর মত উড়ে গিয়েছে বিরোধীরা ৷ ত্রিস্তরের বেশিরভাগ আসনেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা বিপুল জয় লাভ করেছেন ৷