পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অনিশ্চয়তা বহাল। আড়াই ঘণ্টার ম্যারাথন শুনানির পরও স্পষ্ট হল না পঞ্চায়েত মামলার ভবিষ্যত। হাইকোর্টে দীর্ঘ সময় শুনানির পর শেষ হয়নি সওয়াল-জবাব। কাল ফের শুনানি হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চে। মামলার ফয়সালা না হওয়ায় আরও একদিন পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ বহাল রইল। এদিনের পর ১ লা মে পঞ্চায়েত ভোট কার্যত অসম্ভব।
advertisement
পঞ্চায়েত ভোটে স্থগিতাদেশ ও হাইকোর্টের এক্তিয়ার। এই প্রশ্নেই আপাতত আটকে পঞ্চায়েত মামলার ভবিষ্যৎ। এদিন দীর্ঘ সওয়ালে বারবারই সেই প্রশ্নই তুললেন তৃণমূলের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন--পঞ্চায়েত ভোটের জটিলতায় থমকে গিয়েছে জেলার কাজ, বিরোধীদের কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘোষণা হলে তাতে হস্তক্ষেপ করা যায় না। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সু্প্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের এই নির্দেশের পরিপন্থী।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট কমিশনকে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্ট সরাসরি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়। এভাবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা যায় না বলে দাবি করেন তৃণমূলের আইনজীবী ৷
বিজেপির করা মামলায় ৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকেও হাতিয়ার করে সওয়াল তৃণমূলের আইনজীবীর। ভোট প্রক্রিয়া বাতিলের মতো বিজেপির একাধিক দাবি খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই আবেদন কী গ্রহণ করতে পারে হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুপ্রিম কোর্ট ভোটে হস্তক্ষেপ না করে হাইকোর্টকে ফিরিয়ে দিয়েছে। নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট ছিল সুপ্রিম কোর্টের কাছে।
বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে ফের সওয়াল করতে পারেন কল্যাণ। সওয়াল করবেন বিজেপি, বাম ও পিডিএসের আইনজীবীরাও। হাইকোর্ট যাই রায় দিক, পঞ্চায়েত মামলা সুপ্রিম কোর্টে ফের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সম্ভাবনা। এদিনের পর তা আরও স্পষ্ট।