মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির উপনির্বাচনে হার এখনও তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে দগদগে ক্ষতের মতো। এই পরিস্থিতি আবার শুরু হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতিও। সামনের নির্বাচনে বিরোধীদের এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ শাসকদল। এদিন তাই আগামী নির্বাচনের রণকৌশল ঠিক করতে এবং পঞ্চায়েত-জেলা থেকে রাজ্য পর্যায়ের সাংগঠনিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খবরাখবর নিতে বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
advertisement
বৈঠকে একাধিক নেতা, বিধায়ক, সাংসদদের সঙ্গে ধরে ধরে কথা বলেন মমতা। বকা দিতেও দেখা যায় তৃণমূলনেত্রীকে। কালীঘাটের বৈঠকে দলের সাংগঠনিক স্তরে নেতৃত্বে বেশ কিছু রদবদল করার কথা ঘোষণা করেন মমতা। বীরভূমের দায়িত্ব আর কাউকে না দিয়ে আপাতত নিজের কাঁধেই রেখেছেন তিনি।
এদিন কালীঘাটের বৈঠকের শেষে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''বীরভূম দিদি নিজে দেখবে। তাপস রায় দক্ষিণ দিনাজপুর। মলয় ঘটক বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান পশ্চিম দেখবে। অরূপ বিশ্বাস নদিয়া, বর্ধমান পূর্ব, দার্জিলিং দেখবে। ফিরহাদ হাকিম দেখবেন হাওড়া ও হুগলি। সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীকে মালদহ, মুর্শিদাবাদ দেখতে বলা হয়েছে।'' সুদীপের সংযোজন, ''পুরনোরা ছিল। নতুনরা আসবে। কিন্তু যারা দুর্দিনে থেকেছে তারা অনুভব করেনি যে তারা গুরুত্ব হারাচ্ছে। দলকে কিছু ক্ষেত্রে তো কখনও সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।''