স্বর্ণেন্দুর লিভারে প্রাণ বাঁচে হাওড়ার সংযুক্তা মণ্ডলের। দুটি কিডনিতে নতুন জীবন ফিরে পান নীলোফার আরা ও রুবি সর্দার। স্বর্ণেন্দুর চোখ দুটি দান করা হয়েছে বারাকপুরের চক্ষু হাসপাতালকে ।
ফের এক অনন্য মানবিকতার নজির । ব্রেন ডেথের পর অঙ্গদান। সেই অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য বেনজির পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শহরে এই প্রথম গ্রিন করিডর ব্যবহার করে এক হাসপাতালে থেকে অন্য হাসপাতালে প্রতিস্থাপনের জন্য নিয়ে যাওয়া হল অঙ্গ । ব্রেন ডেথ হওয়া স্বর্ণেন্দু রায়ের লিভার, কিডনিতে প্রাণ বাঁচে তিন তিনজনের।
advertisement
স্বর্ণেন্দুর লিভার প্রতিস্থাপন করা হয় সংযুক্তা মণ্ডলের দেহে। ২০০৯ থেকে অ্যাকিউট লিভার ডিজিজে আক্রান্ত সংযুক্তা পাঁচ বছর এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন। ধীরে ধীরে কমছিল আশা। আট ঘণ্টা ধরে লিভার প্রতিস্থাপনের পরও যেন বিশ্বাস হচ্ছে না পরিবারের। এখন আইসিসিইউতে পর্যবেক্ষণে আছেন সংযুক্তা। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার।
স্বর্ণেন্দুর একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে উত্তরপাড়ার রুবি সর্দারের দেহে। বাইপাসের বেসরকারি হাসপাতালে জটিল অস্ত্রপোচারের পর এখন আইটিইউতে রয়েছেন রুবি। সুস্থ, তবে মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেও, স্বর্ণেন্দুর জন্য চোখের কোল বারে বারেই ভিজে উঠছে রুবির মায়ের ।
স্বর্ণেন্দুর অন্য কিডনিতে নতুন জীবন পেয়েছেন কামারহাটির তুতবাগানের নীলোফার আরা। কয়েকবছর ধরে কিডনির জটিল রোগে ভুগছিলেন বছর বত্রিশের নীলোফার। ডোনার মিলছিল না । আশা ছেড়েই দিয়েছিল পরিবার। এমন সময়ে পাওয়া গেল কিডনি ৷ ব্রেন ডেথের পর স্বর্ণেন্দুর বাবা-মায়ের ইচ্ছেয় তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপিত হল নীলোফারের দেহে ৷
স্বর্ণেন্দুর চোখ দুটি দান করা হয়েছে বারাকপুরের চক্ষু হাসপাতালে। শোভনা সরকার, সমর চক্রবর্তীর পথ ধরে স্বর্ণেন্দু রায়ের পরিবারের এই বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তে আশার আলো দেখছেন চিকিৎসক , সমাজবিজ্ঞানীরা।
