এক মল্লিকার দেহে প্রাণ বাঁচল তিনজনের। আরও একবার মানবতার অনন্য নজিরের সাক্ষী রইল তিলোত্তমা। কানের সংক্রমণে ব্রেন সেল শুকিয়ে ব্রেনডেথ হয় শিলিগুড়ির মল্লিকা মজুমদারের। এসএসকেএমে তার কিডনি প্রতিস্থাপিত হল খড়দহের মৌমিতা চক্রবর্তী ও সোদপুরের সঞ্জীব দাসের দেহে। সফল অস্ত্রোপচারের পর দুজনই এখন স্থিতিশীল। অন্যদিকে হায়দরাবাদের রমাকান্ত নায়েকের দেহে বসল মল্লিকার লিভার।
advertisement
কানের সামান্য সংক্রমণ। তার থেকেই শুকিয়ে যায় ব্রেন সেল। মাত্র পনের বছরেই থেমে যায় শিলিগুড়ির মল্লিকা মজুমদারের পথচলা। ভেঙে পড়লেও মেয়ের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার।
আরও পড়ুন
শুরুতেই হোঁচট, শপথ অনুষ্ঠানেই ক্ষমা চাইতে হল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরানকে
গত এক বছর কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন সঞ্জীব দাস। কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা বলেছিলেন চিকিৎসকরা। ক্রমেই কমে আসছিল জীবনীশক্তি। শুক্রবার এসএসকেএম থেকে নতুন জীবনের খবর আসে । দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর রাতে ঘণ্টা তিনেকের সফল অস্ত্রোপচার। কৃতজ্ঞতার জানানোর ভাষা নেই সঞ্জীবের পরিবারের।
গত এক বছর কিডনি সমস্যায় ভুগছিলেন খড়দহের পঁচিশ বছরের মৌমিতা চক্রবর্তীও। আর্থিক অনটনে নতুন কিডনি জোগাড় করা সম্ভব ছিল না। অবশেষে মল্লিকার পরিবারের সাহসী সিদ্ধান্ত নতুন জীবন দিল মৌমিতাকে।
আরও পড়ুন
আর বিনামূল্যে এই পরিষেবা দেবে না রেল, ১ সেপ্টেম্বর থেকে লাগবে চার্জ
চেন্নাইয়ের অ্যাপোলোয় লিভারের সমস্যা নিয়ে ভরতি ছিলেন হায়দরাবাদের বছর পঁয়তাল্লিশের অজয় রমাকান্ত নায়েক। শুক্রবার রাতেই তাঁকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। গ্রিন করিডরে ১৩ মিনিটে এসএসকেএম থেকে অ্যাপোলোয় পৌঁছয় মল্লিকার লিভার। সাত ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর এখন সুস্থ রমাকান্ত। তিনজনই এখন স্থিতিশীল। আইসিসিইউতে কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁদের। শোভনা সরকার, সমর চক্রবর্তী, স্বর্ণেন্দু রায়ের পর এবার মল্লিকা মজুমদারের পরিবারের বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তে আশার আলো দেখছেন চিকিৎসক, সমাজবিজ্ঞানীরা।