এতদিন বেসরকারি মালিকানায় পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা হত। আর সে জন্য ভর্তুকি দিত রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর ব্যাপারে যেমন তোড়জোড় শুরু হয়, তেমনই বাংলার প্রয়োজন না মিটিয়ে বাইরে পেঁয়াজ রফতানি না করার ব্যাপারেও কড়া ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। তার ফলে পেঁয়াজে যোগান বাড়ে রাজ্যে। আর ভিন রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আমদানির উপর নির্ভর করে থাকতে হবে না বাংলাকে। বাংলায় পেঁয়াজ সংরক্ষিত হওয়ায় রাজ্যবাসীর প্রয়োজন মিটবে এবং দামও কমবে। আর ভিন রাজ্যের খেয়ালখুশির উপর নির্ভর করবে না দরদাম। সে জন্য উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠে বাংলার সরকার সংরক্ষণাগার তৈরিতে জোর দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-জেলেনস্কির তীব্র বাগ্যুদ্ধ ! যুদ্ধ থামাতে ‘আপোস’ করতে হবে, জেলেনস্কিকে শর্ত ট্রাম্পের
ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ছোট ও মাঝারি চাষিদের যাতে পেঁয়াজ রাখার সুযোগ দেওয়া যায় সংরক্ষণাগারে। ১৫ মার্চ থেকে যাতে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করা যায় তার ব্যবস্থা করতেও নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। ৪০ টন পেঁয়াজ রাখার মতো ৮টি বড় সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচটি জেলায়। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ও কালনা, হুগলির বলাগড় ও আদিসপ্তগ্রাম, মুর্শিদাবাদের নওয়াদা ও সাগরদিঘি, নদিয়ার হাঁসখালি এবং মালদহের গাজোলে বড় সংরক্ষণাগার তৈরি করা হয়েছে। ৯০ শতাংশ নির্মাণ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। এছাড়া ছোট সংরক্ষণাগার হয়েছে ৯১৭টি। সেখানে ৯ টন করে পেঁয়াজ রাখা যাবে। তার মধ্যে ৮৪৯টি তৈরির কাজ শেষ। দুই ২৪ পরগনা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম ও বাঁকুড়া— এই ৯ জেলায় ছোট সংরক্ষণাগারগুলি নির্মাণ চলছে। সম্প্রতি উদ্যানপালন দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন, এবার রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন ৭ লক্ষ টনেরও বেশি হতে চলেছে। গতবছর উৎপাদন হয়েছিল সাড়ে ৬ লক্ষ টন। অনুকূল আবহাওয়াই রাজ্যে পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।