পায়ে লাগে ওই পুলিশ কর্মীর। সঙ্গে সঙ্গে বাকি পুলিশ কর্মীরা ছুটে এসে উদ্ধার করেন আহত ওই পুলিশ কনস্টেবলকে। এর পর অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে স্কুটি চালক ও পিছনে বসা আরোহী স্কুটি ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। তার আগেই পুলিশ কর্মীরা আটক করে। এর পর দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাথায় তাঁদের হেলমেট ছিল না। আদৌ বৈধ কোনও কাগজপত্র ছিল কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুটিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলে 'মন কি বাত' শুনতে পাচ্ছেন দিলীপ ঘোষ! হঠাৎ কী ঘটল?
প্রশ্ন উঠছে, কালীঘাটে হাই প্রোফাইল জোনে রাস্তার সামনে কী ভাবে ওই স্কুটি চালক সিগন্যাল ভেঙে ধাক্কা মারলেন পুলিশ কর্মীকে? স্কুটি চালক ঝড়ের গতিতে বাইক চালাচ্ছিলেন কেন? তাহলে কি স্কুটি চালকের কাছে বৈধ কাগজ ছিল না?
আরও পড়ুন - গঙ্গাসাগরের পরেও সংক্রমণের হার ৩ শতাংশ, 'অভিষেক মডেল'-এ আলো দেখছে ডায়মন্ড হারবার
কয়েকদিন আগেই জোড়াবাগানে এক ট্রাফিক কনস্টেবলের পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। তারপরও শিক্ষা নেয়নি এ শহর। বেপরোয়া বাইক বা স্কুটি-রাজ এখনও যে কমেনি তা সোমবার ফের প্রমান হল। বারবার বেপরোয়া গাড়ির জেরে আহত হচ্ছেন অনেক পুলিশকর্মী। আর সেকারণে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যাদের হাতে পথ নিরাপত্তা বা সুরক্ষার দায়িত্ব, তাঁরাই পথ দুর্ঘটনা শিকার হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন কখনো আহত হচ্ছেন। আর সেই জোঁনাক উজ্জ্বল রঙের জ্যাকেট ও সোল্ডার লাইট পরতে শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শহর কলকাতার কর্তব্যরত ট্রাফিক সার্জেন্ট ও পুলিস কর্মীদের। যাতে দূর থেকে কোনও গাড়ির চালক দেখে বুঝতে পারেন সংশ্লিষ্ট রাস্তাতে ডিউটি করছেন ট্রাফিক পুলিস কর্মী। কিন্তু বেপরোয়া বাইকের গতিতে রাশ টানতে পুলিশ অনেক চেষ্টা করলেও তাদের লাগাম পরানো যাচ্ছে না। আর সেকারণেই দুর্ঘটনা ঘটে চলেছেই।
Arpita Hazra
