স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এ বছরের মধ্যেই এই প্রেসক্রিপশন চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই প্রেসক্রিপশনের ফলে চিকিৎসকদের হাতের লেখা বুঝতে না পারার যে সমস্যা, তা অনেকটাই কমবে বলে অনুমান। তার সঙ্গে ওই রোগী পূর্বের অসুখও ওখানে লেখা থাকবে। তবে এই পরিকল্পনার মতোই প্রথম পদক্ষেপ নিল স্বাস্থ্যভবন। যে কোনও আউটডোর টিকিটের বিশেষ ওই নম্বর ব্যবহার করা যাবে স্বাস্থ্য দফতরের যে কোনও কম্পিউটার থেকেই। স্থানীয় হাসপাতালে ওই টিকিট দেখালে সেখানেই করা যাবে বিনামূল্যে রোগ বা রক্তপরীক্ষা। নতুন করে আর টিকিট করার প্রয়োজন নেই। এর ফলে গ্রামীণ এলাকার মানুষদের সুবিধা হবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসক মহল।
advertisement
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ নিয়োগী বলেন, ‘‘ধাপে ধাপে ই-প্রেসক্রিপশন চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে সেই কারণে। এতে মানুষের ভোগান্তি কমবে।’’ তবে এই পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত করা যাবে, তা নির্ভর করছে জেলা, মহকুমা বা তার নীচের স্তরের হাসপাতালগুলিতে রোগ ও রক্তপরীক্ষার জন্য কী ধরনের পরিকাঠামো রয়েছে, তার উপর। বেশ কিছু পরীক্ষার আছে যা শুধুমাত্র সম্ভব বড় মেডিক্যাল কলেজগুলিতেই।
তবে এমআরআই, সিটি স্ক্যান এখন জেলাস্তরের বহু হাসপাতালেই রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সিটি স্ক্যান চলছে রাজ্যের ৩৯টি সরকারি হাসপাতালে। অন্যান্য হাসপাতালেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিটি স্ক্যান পরিষেবা মেলে। ফলে খুব একটা সমস্যায় পড়তে হবে না, বলেই মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর।