রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি। বন্ধ পরিষেবা। জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে লাগাতার বিক্ষোভ হাসপাতাল চত্বরগুলিতে। কী ভাবে দ্রুত স্বাভাবিক করা যায় পরিস্থিতি, তা নিয়ে আলোচনা করতেই মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে এই বৈঠক করেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
এ দিনের বৈঠকে আরজি করের পরিকাঠামো নিয়েও আলোচনা করেন মমতা। সেই সঙ্গে শহর এবং জেলা হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্টও নেওয়া হয়। বেহাল হাসপাতাল পরিস্থিতি অচিরেই ঠিক করার প্রয়াস মুখ্যমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত আজই বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিষেবা না মেলায় বিনা চিকিৎসায় তিনি মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন পিয়ারুল শেখ নামে সেই রোগীর পরিবারের সদস্যরা। আরজি কর কাণ্ডের জেরেই এই ভোগান্তি, এমনই দাবি আরও বহু চিকিৎসাপ্রার্থী রোগীর পরিবারের।
advertisement
আরও পড়ুন- স্ত্রীকেও ছাড়েনি সঞ্জয়! কী কী করেছিল তাঁর অসুস্থ মেয়ের সঙ্গে? মুখ খুললেন শাশুড়ি
অন্য দিকে, আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণের পরে খুন হওয়া মহিলা চিকিৎসকের বাড়িতেও যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বেরিয়ে এসে মমতা বলেন, ‘‘রবিবারের মধ্যে পুলিশ তদন্ত শেষ করতে না পারলে সিবিআইকে তদন্ত ভার দেওয়া হবে।’’ শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “মেয়েটির বাবা-মা বলেছেন, ভিতরের কেউ জড়িত আছে৷ যদি তাই হয় ওঁর বন্ধুবান্ধব সহ যাদের উপরেই সন্দেহ হচ্ছে, তাঁদের ডেকে কথা বলা হবে৷”
এ দিন আবারও দোষীর ফাঁসির দাবি তোলেন মমতা। সেই সঙ্গে পুলিশকে তদন্তের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।