বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়ি ঘিরে ফেলা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। শুধু মেইন গেট নয়, দুদিক দিয়ে বাড়িতে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেই দরজায় তালা লাগিয়ে দেন সিবিআই অফিসাররা। এরপর বেশ কিছুক্ষণ অনুব্রতর বাড়িতে ছিল সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর অনুব্রতকে নিয়ে গাড়িতে তোলা হয়। যদিও অনুব্রতর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা জানান, ''গ্রেফতার করলে তো আইনজীবী হিসেবে আমাদের তা জানানোর কথা। কিন্তু এখনও তা জানানো হয়নি। তাই গ্রেফতার বলতে পারছি না। আটক করা হতে পারে।'' প্রসঙ্গত, এত দিন ১৬০ crpc-তে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল অনুব্রতকে। আজ 41A তে নোটিশ দিয়ে অনুব্রতকে অভিযুক্ত হিসেবে নোটিশ দিয়ে নিয়ে গিয়েছে সিবিআই।
advertisement
আরও পড়ুন: সময় শেষ, অনুব্রতকে গ্রেফতার করল সিবিআই! বাড়িতে ঢুকে দেড় ঘণ্টাতেই বাজিমাত
সিবিআই সূত্রে খবর, অ্যারেস্ট মেমো-তে সই করতে রাজি হননি অনুব্রত। সূত্রের খবর, অনুব্রতকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আসানসোলে। এখনও সরকারি ভাবে গ্রেফতারের কথা সিবিআই-এর তরফে ঘোষণা করা না হলেও অনুব্রতকে যে আর ছেড়ে দেওয়া হবে না, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে অনুব্রতকে গ্রেফতারির ঘোষণা সময়ের অপেক্ষা বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: নোটিশের ধারাতেই সব স্পষ্ট করল সিবিআই! অনুব্রতর পরিণতিতে তোলপাড় তৃণমূলে
এদিন বাড়িতে ঢুকেই ভিতরে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিবিআই তদন্তকারীরা। বাইরে থেকে বন্ধ করা হয় বাড়ির গেট। তৃণমূল জেলা সভাপতির নিরাপত্তা রক্ষীদের সরিয়ে নিচুপট্টি এলাকার দখল নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। গরুপাচার মামলায় ১০ বার অনুব্রতকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু মাত্র একবার হাজিরা দেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। অসুস্থতার কথা বলে গতকালও হাজিরা এড়িয়ে যান অনুব্রত। শারীরিক সমস্যার কারণে ১৪ দিনের জন্য ফের সময় চেয় নেন।
কিন্তু সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। আজ ওই চিকিৎসকের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত প্রভাব খাটিয়ে চিকিৎসককে দিয়ে প্রেসক্রিপশন লেখানোর চেষ্টা করেছিলেন কিনা, তা জানতে চাওয়া হবে। সকালে অনুব্রতর বাড়িতে ঢুকেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এরপরই তাঁকে নিয়ে যায় সিবিআই।