কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশ ফেরত সকলেরই জিনোম সিকোয়েন্স টেস্ট করা হচ্ছে। তেমনই গত ২৭ ডিসেম্বর কল্যানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্সে ৩৯ জনের রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। সোমবার সেই রিপোর্টে আসে। ওই রিপোর্টে চারজন দেহে বিএফ. ৭ এর হদিস মেলে। তাঁদের মধ্যে একজন রাজারহাট ও বাকি তিনজন নদিয়া জেলার বাসিন্দা। নদিয়ার ওই তিনজন একই পরিবারের সদস্য। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, নদিয়ার তিন বাসিন্দা গত ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে মার্কিন মুলুক থেকে দেশে ফিরেছেন, এবং রাজারহাটের ওই যুবক ডিসেম্বর এর মাঝামাঝি সময়ে দেশে নিজের বাড়িতে এসেছেন। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ এই চারজনেই। এমনকি প্রথমে তাঁদের সঙ্গে আসা বাকি যাত্রীদের ঘিরে ভয় তৈরি হয়েছিল। রাজারহাটের ওই বাসিন্দার সংস্পর্শে এসেছিলেন ২২ জন এবং নদিয়ার তিনজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন মোট ৩৩ জন। তবে রিপোর্টে দেখা গিয়েছে তাঁদের কেউই করোনা আক্রান্ত হন নি। শারীরিক কোনও সমস্যাও নেই, সকলেই সুস্থ।
advertisement
এবিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, “জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট আসার পরে, জানা গিয়েছে চার জন বিএফ.৭ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ছিলেন। তবে তাঁরা এখনও পুরো সুস্থ। তাঁদের সংস্পর্শে আসা লোকজনেরও কিছু হয়নি। আর, রাজ্যে এখনও দৈনিক আক্রান্ত ১০ জনেরও নীচে। তাই, নতুন স্ট্রেন নিয়ে এখনই উদ্বেগের কিছু নেই।”
এদিকে, রাজ্যে করোনা দৈনিক আক্রান্ত এর সংখ্যা ১০-এর নীচে। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া বুধবার এর করোনা তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে ৭ জন করোনা পজিটিভ রাজ্যে। বুধবার এই নিয়ে বৈঠক করে কোভিড প্রোটোকল কমিটির সদস্যরা। সেখানে এই নতুন প্রজাতির হদিশ নিয়ে আলোচনা হয়। ইতিমধ্যেই সারা দেশের হাসপাতালে মকড্রিল হয়। সেখানে বাংলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে দেখা গিয়েছে। ফলে ওমিক্রনের উপজাতি ধরা পড়লেও খানিক স্বস্তিতে রাজ্য।
