সিঙ্গুরের বেসরকারি নার্সিংহোমে তরুণী নার্সের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে। মৃত্যুর পর থেকেই ময়নাতদন্ত নিয়ে তৈরি হয়েছে বড়সড় জটিলতা। শুক্রবার শ্রীরামপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা থাকলেও, তা শেষ মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যায়।
সারা রাত পড়ে রইল দেহ! সিঙ্গুরে বেসরকারি নার্সিংহোমের ভিতরে তরুণী নার্সের মৃত্যুতে বড়সড় জট!
‘তেমন নয়…’ ১ বছর ট্রাম্পকে কাছ থেকে দেখেছেন, আসলে কেমন মানুষ? প্রশ্ন করতেই চমকে দিলেন বিশ্বসুন্দরী!
advertisement
অভিযোগ, মৃতার বাবা-মায়ের অনুমতি না নিয়েই দেহ সরিয়ে নিয়ে আসা হয় কলকাতা পুলিশ মর্গে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তরুণীর পরিবার। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন— কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্ত তাঁরা চাইছেন না, ময়নাতদন্ত করতে হবে কল্যাণী এইমস বা কমান্ড হাসপাতালে। ফলে সারারাত মৃতদেহ পড়ে থাকে কলকাতা পুলিশ মর্গে। পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে। অবশেষে হুগলি রুরাল পুলিশের তরফে লিখিত আবেদন জানানো হয় কল্যাণী এইমস কর্তৃপক্ষকে। রাতেই রাজি হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই ঘটনার জেরে সিঙ্গুরে চাঞ্চল্য আরও বাড়ল। পরিবার বারবারই অভিযোগ তুলছে, কৌশল করে দেহ সরানোর চেষ্টা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রশাসনের তরফে জোর দিয়ে বলা হচ্ছে— সব কিছু আইন মেনেই করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সিঙ্গুরের নার্সিং পড়ুয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সিঙ্গুর থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের চন্দননগর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধৃতরা হলেন নার্সিংহোম মালিক সুবীর ঘোড়া ও রাধাগোবিন্দ ঘটন। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, ধৃত রাধাগোবিন্দ ঘটনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল নিহত নার্সিং পড়ুয়ার।