কিন্তু সেই আশ্বাস পূরণ না হওয়ায় ফের মঙ্গলবার বিক্ষোভে সামিল হন বিএসসি এবং জেএনএম নার্সিং চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দাবি দাওয়া স্বাস্থ্য ভবনে পুনরায় জানানো বা আন্দোলন শুরু করার অনেক আগেই মহিলা পুলিশ এসে টেনে হিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যায় তাঁদের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এখানে প্রায় ৬ হাজার ১৩৪ শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, সেখান থেকে এখনও নিয়োগ হয়েছে ২ হাজার ৮০০ মতো। বাকি পদগুলোতে নাম নথিভুক্ত হওয়ার পরও তাঁদের নিয়োগ হচ্ছে না।
advertisement
বিক্ষোভকারী এক নাসিং চাকরিপ্রার্থী জানান, ‘আমরা আন্দোলন শুরুই করলাম না। তার আগেই আমাদের পুলিশ ভ্যানে তুলে দেওয়া হল। ওঁদের ক্ষমতা আছে বলে কি আমরা আন্দোলন করব না?’ আরও এক আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্য, ‘লজ্জা হওয়া উচিৎ। একদল ঘুষ খেয়ে চাকরি পেয়েছে। আর আমরা চাকরি পাচ্ছি না বলে জমায়েত করেছি। নিজেদের যোগ্যতায় চাকরি নিতে এসেছি এখানে। এখন জোর করে আমাদের ভ্যানে তুলছেন। আমরা শুধু বলেছিলাম কথা বলতে আসব। তারপরও আমাদের কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।’
আরও পড়ুন: কর্মবিরতি ঘিরে তোলপাড় হাইকোর্ট! মঙ্গলেও আইনজীবীদের শোরগোল চরমে, উত্তপ্ত আদালত চত্বর
প্রথম তিন থেকে চার দফায় প্রায় সত্তর থেকে ৮০ জন নার্সিং চাকরিপ্রার্থীদের আটক করে বিধাননগর থানার পুলিশ। এর পর আরও একদল নার্সিং চাকরিপ্রার্থীরা সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবং আগে যাদের আটক করা হয়েছে তাঁদের অবিলম্বে ছাড়ার কথা জানায়। তবে মহিলা পুলিশের বড় বাহিনী এসে তাঁদেরও আটক করে থানায় বসিয়ে রাখে। প্রসঙ্গত এই নার্সিং চাকরিপ্রার্থীদের সম্প্রতি স্বাস্থ্য ভবনে বিক্ষোভ আন্দোলন থামাতে পুলিশকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সেই জন্যেই মঙ্গলবার বিরাট পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করে রাখা হয় স্বাস্থ্য ভবনের সামনে।
ওঙ্কার সরকার