রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখনই রাজ্যে লোকাল ট্রেন, মেট্রো বা সরকারি- বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হচ্ছে না৷ আগের মতোই চলবে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন৷ তবে সেই স্টাফ স্পেশ্যালের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হল আজ, বুধবার থেকে । শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে মোট ৬৫টি অতিরিক্ত স্টাফ স্পেশ্যাল চালানো হবে। স্পেশ্যাল মেট্রোয় এ বার থেকে ছাড় পাবেন সাংবাদিকরাও ।
advertisement
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পরতেই দ্বিতীয় দফায় লকডাউন শুরু হয়েছিল গোটা দেশেই । সে সময় বন্ধ হয়ে যায় লোকাল ট্রেন । তবে জরুরি পরিষেবার জন্য যুক্ত যাঁরা, তাঁদের জন্য দুই ডিভিশনে রেলকর্মীদের জন্য চলছিল ৩৪২টি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন। এরপরে রাজ্যের সম্মতিতে স্বাস্থ্য, ব্যাংক, হাই কোর্ট, বিএসএনএল-সহ কয়েকটি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা এই ট্রেন চড়ার অনুমতি পায়। এরপরেই অস্বাভাবিক ভিড় হতে থাকে ট্রেনগুলিতে। পরবর্তীতে বিধিনিষেধে কিছু ছাড় দেওয়ার আগে রেল লোকাল ট্রেন চালানোর অনুমতি চায় রাজ্যের কাছে। যদিও এতে সহমত পোষণ করেনি রাজ্য। ফলে লোকাল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তই বজায় রেখেছে রেল (Indian Railways) কর্তৃপক্ষ।
লকডাউন চললেও বুধবার থেকে সরকারি, বেসরকারি অফিস খোলার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে । ফলে ট্রেনের উপর চাপ আরও বাড়বে । ৬৫টির মধ্যে শিয়ালদহে (Sealdah) ৪০টি ও হাওড়ায় ২৫টি ট্রেন বাড়বে আজ থেকে। ফলে ৩৪২টির জায়গায় ৪০৭টি স্টাফ স্পেশ্যাল চলবে দুই ডিভিশনে। এদিকে, এবার থেকে স্পেশ্যাল মেট্রোয় যাতায়াতে ছাড় দেওয়া হল সাংবাদিকদেরও।
অন্যদিকে, এখন স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যে স্পেশাল বাস চলছে। স্পেশাল বাস চলছে পুর, পুলিশ, নবান্ন ও মহাকরণে যাতায়াত করা কর্মীদের জন্যে বাস। সরকার বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করলেই সুবিধা হবে বলে মত যাত্রীদের। অন্যদিকে, বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে রাজ্যের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠনগুলি। বাসের ভাড়া না বাড়ালে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাস মালিকদের সংগঠন।
নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বুধবার থেকে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি অফিস খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ তবে বেসরকারি অফিস খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত৷ কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে অফিস কর্তৃপক্ষকেই৷ প্রতি শিফটে পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী নিয়ে আইটি ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি কাজ শুরু করতে পারবে৷ ভ্যাকসিন পেয়েছেন প্রতিটি ইউনিটে এমন পঞ্চাশ শতাংশ কলাকুশলী এবং শিল্পী নিয়ে শ্যুটিং চালুরও অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ তবে আগের মতোই রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত অকারণে কেউ বাড়ির বাইরে বেরোত পারবেন না৷ যাঁরা করোনার টিকার দু'টি ডোজই পেয়েছেন, তাঁদের সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মর্নিং ওয়াক করারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলাধুলো শুরুর অনুমতিও দেওয়া হয়েছে৷
আজ, অর্থাৎ ১৬ জুন থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য খুচরো বাজার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে৷ অন্যান্য সমস্ত দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত৷ পঞ্চাংশ শতাংশ বসার জায়গা নিয়ে বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু করা যাবে রেস্তোরাঁ এবং পানশালা৷ মোট ধারণ ক্ষমতার তিরিশ শতাংশ ক্রেতার প্রবেশের অনুমতি মানার শর্তে খোলা যাবে শপিং মলের ভিতরে থাকা দোকানপাটও৷ কিন্তু বন্ধই থাকছে সিনেমা হল, মাল্টিপ্লেক্স,জিম, স্পা৷ আগের মতোই বন্ধ থাকছে স্কুল, কলেজ সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷