সপ্তাহ খানেক আগের ঘটনা ৷ সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হল এযাবৎকালের সবথেকে বড় খাদ্য কেলেঙ্কারি ৷ ভাগাড় থেকে মরা-পচা-গলা পশুর মাংস পাচার হয়ে যাচ্ছে হোটেল-রেস্তোরাঁ মায় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ৷ কেমিক্যালে প্রসেস হয়ে তারপর সে মাংস সোজা আমাদের পাতে ৷ গোটা রাজ্যে রীতিমতো সক্রিয় এই ভাগাড় মাংস চক্র ৷ পুলিশি জেরা ও তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চমকে দেওয়া তথ্য ৷
advertisement
গত দু বছরের পরিসংখ্যান অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ফুড সেফটি লংঘনের দায়ে রাজ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়নি কেউ। এরই মাঝে সামনে এসেছে ভাগাড়ের মরা পশুর মাংস বাজারে বিক্রির। রেস্তোরাঁয় দেওয়া হচ্ছে সেই মাংস। এই অবস্থায় রাজ্যে বাধ্যতামূলক হোক ফুড সেফটি আইন। বাধ্যতামূলক করা হোক খাদ্য প্রস্তুতকারীদের রেজিস্ট্রেশন। এই দাবিতেই হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন পরিবেশপ্রেমী সুভাষ দত্তের। খাদ্য সুরক্ষায় আরও কড়া হোক প্রশাসন। ভেজাল রুখতে রাজ্য জুড়ে বাড়নো হোক অভিযান। জনস্বার্থ মামলায় আবেদন সুভাষ দত্তের।
ভাগাড়কাণ্ডে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ সুভাষ দত্ত ৷ আদালতের কাছে তাঁর আবেদন, ‘রাজ্যে বাধ্যতামূলক হোক ফুড সেফটি আইন ৷ খাদ্য প্রস্তুতকারীদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ৷ ভেজাল অভিযান বাড়ানো হোক রাজ্যজুড়ে ৷ খাদ্য সুরক্ষায় আরও কড়া হোক প্রশাসন ৷’ সোমবার এই মামলার সম্ভাব্য শুনানি ৷
বৃহস্পতিবারই গড়িয়ার তেঁতুলতলা থেকে গ্রেফতার করা হয় মরা পশুর মাংসের অন্যতম কারবারী বিশ্বনাথ গড়াই ওরফে বিশুকে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, হিমঘরের মালিক বিশু মরা মাংসের কারবারের অন্যতম মাথা ছিল ৷ হিমঘরে সংরক্ষণ এবং খোলা বাজারে মাংস বিক্রির দিকটা তদারকি করত বিশ্বনাথ ৷
ভাগাড় কান্ড সামনে আসার পর থেকে গত কয়েকদিন ধরেই শহর জুড়ে চলছে খানা তল্লাশি ৷ ইতিমধ্যেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷