নিয়োগপত্র পেয়ে কাজে যোগ দেওয়ার পর এমন আচমকা বাতিলের খবরে দিশেহারা বীরভূম জেলার ৪৪ জন প্রাথমিক শিক্ষক ৷ এদের অভিযোগ, মেধা তালিকা প্রকাশের পর কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেয়েছিলেন এরা সকলে ৷ কাউন্সেলিং শেষে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় প্রাথমিক শিক্ষক পদে যোগ দেওয়ার জন্য সরকারি নিয়োগপত্র ৷ কাজে যোগ দেওয়ার পর এই ৪৪ জনের নিয়োগ বাতিল ঘোষণা করে চিঠি পাঠিয়েছে বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ৷
advertisement
দিশেহারা, বিভ্রান্ত, ক্রুদ্ধ শিক্ষকেরা সেই চিঠি নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অফিসে এসে এর কারণ জানতে চান ৷ যদিও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে এখনও কিছুই জানানো হয়নি ৷
সম্প্রতি নদীয়া জেলায় প্রাথমিকে বেশ কিছু পার্শ্বশিক্ষকের ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা ঘটেছে বলে খবর ৷
থমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অবরোধ, বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বহু চাকরিপ্রার্থী। অভিযোগ উড়িয়ে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছিল জেলায় নিয়োগপ্রক্রিয়া প্রায় শেষ। কিন্তু বুধবার হাইকোর্টের রায়ে ফের ধাক্কা খেল পর্ষদ। বর্ধমানের বাসিন্দা সার্থক ঘোষের করা মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ২১৪ জন স্পেশাল ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের প্রশিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য পাওয়া বাড়তি নম্বরও যোগ করতে হবে মেধা তালিকায়। এর ফলে অধিকাংশ জেলায় বদল আসতে চলেছে নিয়োগ তালিকায় ৷ ফলে ফের আশঙ্কার দোলাচালে নবনিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকরা ৷