ট্রেনের টিকিট চার মাস আগেই কনফার্ম হয়ে গিয়েছে। পুজোয় রেলের পক্ষ থেকে ট্রেনের কোচ বাড়ানো ছাড়াও একাধিক বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে। তবুও উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের চাহিদা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, যার প্রমাণ বেসরকারি এসি ও ভলভো বাসের টিকিটের আকাশচুম্বী দাম। সূত্রের খবর, কলকাতা এবং শিলিগুড়ির মধ্যে চলা বেসরকারি এসি এবং ভলভো বাসের ভাড়া বছরের অন্য সময়ের তুলনায় তিন থেকে পাঁচ গুণ বেড়েছে।
advertisement
পঞ্চমী এবং ষষ্ঠী থেকেই উত্তরবঙ্গগামী বাসের টিকিটের দাম অত্যধিক বাড়তে শুরু করেছে। ভলভো এসি স্লিপার শ্রেণির ভাড়া পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা। সাধারণ পুশব্যাক আসন রয়েছে, এমন বেসরকারি বাতানুকূল বাসের ভাড়া তিন থেকে চার হাজার টাকা। এই দাম বজায় থাকছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন- স্কুলের একদল বাচ্চা না তিনটে প্যাঁচা? খুঁজুন নিজে, খুঁজতে দিয়ে নাজেহাল করুন বন্ধুদেরও
বেসরকারি সংস্থাগুলির টিকিটের কেন এই চড়া দাম? সংস্থাগুলির দাবি, কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি এক বার যাতায়াতে ৪০ হাজার টাকার জ্বালানি প্রয়োজন। পর্যটকদের এই ভিড় কলকাতা বা শিলিগুড়ি থেকে সারা বছর থাকে না। পুজোর সময়েই এর চাহিদা বাড়ে। কিন্তু এ দিকের যাত্রীদের উত্তরবঙ্গ যাত্রার চাহিদা সারাবছর থাকে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খালি বাস নিয়ে আসা হয়। একাধিক ক্ষেত্রে অন্য রুটের বাসে বিশেষ পারমিট করিয়ে চালানো হয়। সেই সব খরচ তুলতেই ভাড়ায় সার্জ বসে বলে জানাচ্ছেন বাসমালিক সংগঠনের নেতৃত্ব।
তবে এই উৎসবের মরশুমে এগ্জিকিউটিভ বাসের ভাড়ায় সরকারি নিয়ন্ত্রণ চাইছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে চাহিদা অনুযায়ী বাস জোগান দেওয়ার চেষ্টা করছে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। তাদের ভাড়া নির্দিষ্ট। পুজোয় শিলিগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাট-সহ বিভিন্ন রুটে বাস চালাচ্ছে নিগম। তবে তাদের ভলভো বাস দুটো। বাতানুকূল বাস চালানো হচ্ছে । ফলে পর্যটকদের চাহিদা মোটে মেটাতে পারছে না পরিবহণ নিগম। এসি ভলভো শ্রেণির বাসের বিপুল জ্বালানি খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ সামলেও এই বাস চালিয়ে সাফল্য পাচ্ছে সরকার।