সিআইডি সূত্রে খবর, নূরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পাঁচলাইস থানা, বায়োজিদ বোস্তামি থানা, চান্দগাঁও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ধৃত নূর বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যায় ওমানে। ওমানে রং মিস্ত্রির কাজ করতো। কিন্তু বছর কয়েক আগে ওখানে তার সঙ্গী সারওয়ার ধরা পড়ার পর ওমান এয়ারপোর্ট থেকে পালিয়ে যায় নূর। প্রথম লকডাউনের সময়ে সে চলে আসে কলকাতায় নিউ মার্কেট এলাকায়। এখানে এসে নাম বদলে তমাল চৌধুরী নাম নিয়ে থাকতে শুরু করে। নিউ মার্কেটে মাছ বিক্রি করত সে।সিআইডি সূত্রে খবর, ধৃতর বাড়িতে তল্লাশি করে ও জেরা করে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে এর সঙ্গে টেরোরিস্ট গ্রুপের কোনো যোগাযোগ আছে কিনা। কারণ, জানা গিয়েছে এর আগে বাংলাদেশের এক সেমি টেরোরিস্ট গ্রুপ-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল ম্যাক্সন৷
advertisement
আরও পড়ুন : সম্রাজ্ঞী হয়েও এই কারণেই উজ্জ্বল প্রসাধনী ছেড়ে আপন করেছিলেন সাদা শাড়িতে হিরের দ্যুতিকে
সিআইডি-র জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে৷ তমাল চৌধুরী পরিচয় মাধ্যমগ্রামে এক মহিলা সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই মহিলার সঙ্গে লিভ ইন করত পর বি টি রোডের ডানলপ এলাকায়৷ সাত হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকছিল তারা। সিআইডি সূত্রে খবর, বাংলাদেশে অস্ত্র ডিলার ছিল ম্যাক্সন। এছাড়াও ধৃতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একাধিক থানায় তোলাবাজি, অস্ত্র আইন, হুমকি, বিস্ফোরকে দ্রব্য আইন, খুনের চেষ্টা, ডাকাতি লুঠ, খুনের চেষ্টা,-সহ একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন : আম, জাফরান সুবাসিত গাজরের হালুয়া এবং আশা ভোঁসলের তৈরি শাম্মি কাবাব ছিল সুরসম্রাজ্ঞীর পছন্দের শীর্ষে
বাংলাদেশে RAB তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিলো। আর সে কারণে ওমানে সে পালিয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিনের পর সেখানে তার সঙ্গী সারওয়ার ধরা পড়ে। তখন ম্যাক্সন পালিয়ে আসে ভারতে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার বাংলাদেশে কুখ্যাত দুষ্কৃতী নূর উন লতিফ নবী ওরফে তমাল চৌধুরীকে সিআইডি গ্রেপ্তার করে। এই নূরের একাধিক নাম রয়েছে। সিআইডি সূত্রে খবর,নূর উন লতিফ নবী ওরফে ম্যাক্সন ওরফে সারওয়ার ম্যাক্সন ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সিআইডি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকা, পাসপোর্ট ( তমাল চৌধুরী নামে ), ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, আধার কার্ড-সহ একাধিক নথি। বাংলাদেশে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে বাংলাদেশে RAB বহু বছর ধরে খুঁজছিলো। শেষ পর্যন্ত সিআইডি এসওজি আধিকারিকরা তাকে গ্রেপ্তার করেন।