ডানলপ, বরানগর, বেলঘড়িয়ার একাধিক অঞ্চল কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে রয়েছে। তবুও ডানলপের এই বাস স্ট্যান্ড থেকে গা ঘেষাঘেষি করে দিব্যি বাসে উঠছেন এলাকার বাসিন্দারা। সরকারি S9A রুটের বাসে ওঠার জন্য কার্যত মারপিটের মত অবস্থা যাত্রীদের মধ্যে। সোশ্যাল ডিসটেন্স তো দূরের কথা, পুলিশকে তোয়াক্কা না করেই দৌড়ে দৌড়ে চলছে বাসে ওঠার প্রতিযোগিতা। আর সেই ছবি দেখেই কার্যত চক্ষু চড়কগাছ। করোনার সংক্রমণ কমবে কী করে? অন্তত এই ছবি দেখে এলাকাবাসীর ভয়, সংক্রমণ বাড়বে না তো? আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।
advertisement
কেউ দাঁড়িয়ে আছেন সকাল সাড়ে সাতটা থেকে, আবার কেউ দু'কিলোমিটার হেঁটে আসছেন বাস ধরার জন্য। যখনই বাস আসছে তখন আবার প্রতিযোগিতা চলছে কে কত দ্রুতগতিতে দৌড়ে চলন্ত বাস ধরবেন। ডানলপ থেকে মাত্র একটি রুটের সরকারি বাস পরিষেবার শুরু হয়েছে।এস নাইন এ রুটের বাস ধরার জন্য সকাল থেকেই এই ছবি ধরা পড়ল।১ ঘন্টা অন্তর অন্তর বাস পরিষেবা থাকায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। বাস পরিষেবা শুরু হওয়াতে কলকাতার একাধিক অফিস চালু হয়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময় কী করে ডানলপ থেকে বাসে পৌঁছানো যাবে তা নিয়েই চিন্তিত অফিস যাত্রীরা।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক সমীক্ষা বলছে দেশকে তথা রাজ্যকে সচল রাখতে হলে কর্পোরেট সংস্থাগুলি চালু রাখতে হবে। আর তাই একাধিক সংস্থা কর্মচারীরা অফিসে যাওয়ার জন্য সরকারি বাসের ওপরেই নির্ভরতা দেখাচ্ছেন। কিন্তু নির্ভরতা দেখালেও বাস পরিষেবা কম থাকায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে চিকিৎসক থেকে বিজ্ঞানীরা বলছেন জুন- জুলাই মাসে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ জায়গায় পৌঁছাবে। সেক্ষেত্রে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্স সহ একাধিক নিয়ম মানা জরুরী। কিন্তু বৃহস্পতিবারের যে ছবি দেখা গেল তাতে অন্তত এটা স্পষ্ট সংক্রমণ বাড়বে বই কমবে না।