এই উদ্বাস্তুদের মধ্যে রয়েছেন মতুয়ারাও। কলকাতারও বিভিন্ন এলাকায় যেখানে বহু দিন ধরে উদ্বাস্তুদের বসবাস, তাঁদেরও উচ্ছেদ করা যাবে না বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা এদিন বলছেন, "রিফিউজিদের যোগ্য মর্যাদা দেওয়ার কথা দিয়েছিলাম আমরা। একটা সমীক্ষা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে যাদের জমিজমা আছে তাড়া বিনাপয়সায় ফ্রিহোল্ড রাইটস পাচ্ছে।"
এছাড়াও কলকাতার আরও বিভিন্ন এলাকার উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। তিনি বলছেন, "আরও একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতার বিভিন্ন এলাকা যাদবপুর, বালিগঞ্জ, বেহালা, পাটুলি, বেলেঘাটা, উল্টোডাঙা, টালিগঞ্জ, ঢাকুরিয়া, গড়িয়া, সোনারপুর, বারুইপুরের উদ্বাস্তু কলোনিকে স্বীকৃতি দিচ্ছি। প্রত্যেকে ফ্রি হোল্ড রাইটস পাবে বিনা পয়সায়। যারা দীর্ঘদিন বসবাস করার পরেও জমির দলিল পাননি তাদের সমীক্ষা করে দেওয়া জমির দলিল দেওয়া হবে।"
advertisement
তিনি আরও বলেছেন, "গত দুবছরে ২১৩টি রিফিউজি কলোনিকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ৩০ হাজার পাট্টা দিয়ে দিয়েছি। ১২ হাজার প্রস্তুত আছে। যে কোনও মুহূর্তে দিয়ে দেব। আজ আরও ৩১টি কলোনি স্যাংশন করলাম। তার মধ্যে ২৮৪০ রিফিউজি পাট্টা পাবেন। মোট ২ লক্ষ ৮৯ হাজার পাট্টা এখনও পর্যন্ত ইস্যু রয়েছে বাংলায়।"
এদিন তিনি স্পষ্ট জানান, কোনও রিফিউজিকে বাদ দেওয়া যাবে না। রাজ্য সরকারের কলোনি হোক বা কেন্দ্রীয় সরকারের কলোনি, কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু সংস্থা উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মমতা। তাঁর কথায়, "বাকুড়ায় কিছু দিন আগে রেল নোটিশ দিয়েছিল । উদ্বাস্তু যারা বহুদিন ধরে বসবাস করছেন তারা অধিকার মতোই জমির পাট্টা পাবেন। মতুয়ারাও জমির পাট্টা পাবেন। আমরা কাউকে উচ্ছেদ করতে দেব না।"