এদিন ম্যারাথনের উদ্বোধনে ছিলেন দিলীপ ঘোষ, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ, যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্ত, জয়প্রকাশ মজুমদার, রাহুল সিনহারা। প্রত্যেকের হাতেই ছিল জাতীয় পতাকা, টি শার্টে ছিল অলিম্পিকের লোগো ও বিজেপির লোগো।
কলকাতা পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, যেহেতু এখনও কোভিড বিধির কারণে জমায়েতে আংশিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাই এমন কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না যাতে জনসমাগম হয়। কিন্তু দিলীপবাবুরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, পুলিশ অনুমতি দিক, বা না দিক, রবিবার শহরের রাজপথে যুব মোর্চার ম্যারাথন হচ্ছেই। বাস্তবে হলও তাই। ম্য়ারাথন শেষে তাই সৌমিত্র খাঁয়ের মন্তব্য, 'পুলিশকে ধন্যবাদ বিরোধীদের সুযোগ দেওয়ার জন্য।' তাই এদিন নতুন করে প্রশাসনের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি থাকলেও বাস্তবে তা হল না।
advertisement
যেহেতু বিজেপির তরফে সর্বভারতীয় স্তরে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল, তাই এ রাজ্যেও তা পালন করে বদ্ধপরিকর ছিল গেরুয়া শিবির। বিজেপির বক্তব্য, করোনার নাম করে পশ্চিমবঙ্গে তাদের কোনও কর্মসূচিই পালন করতে দেওয়া হচ্ছে না। অপরদিকে শাসকদলের পক্ষ থেকে কোনও কর্মসূচি নেওয়া হলে তখন উল্টো তাতে কোনও বাধা দেয় না পুলিশ। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই এদিন ম্যারাথন কর্মসূচি পালন করল যুব মোর্চা। দিলীপ ঘোষেরও দাবি, 'আমরা উৎসাহের সঙ্গে দৌড়েছি। প্রশাসনকে ধন্যবাদ। সৌমিত্র খাঁ ছিলেন। উৎসাহ নিয়ে দৌড়েছি।'
