কলকাতা পুরসভার এলাকায় এক থেকে একশো নম্বর ওয়ার্ডের যারা বাসিন্দা, তাদের বাড়ি তৈরি করার সময় দু’বার চার্জ দিতে হত ৷ একটা দিতে হত কলকাতা পুরসভাকে। সেই ফিজকে বলা হয় ডেভলপমেন্ট ফিজ৷
কলকাতা পুরসভার সেই ফিজ অনলাইনের মাধ্যমে মেটানোর ব্যবস্থা থাকে। এর পাশাপাশি একটা ফিজ দিতে হত এই সব ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের যাকে বলা হয় বেটারমেন্ট ফিজ। এই ফিজ জমা দেওয়া হত কেআই টিকে। ২০১৭ সালে অবশ্য কেআই টি’কে মিশিয়ে দেওয়া হয় কেএমডিএ’র সঙ্গে৷ ফলে ২০১৭ সাল থেকে এই টাকা বা ফিজ দেওয়া হচ্ছে কেএমডিএ-কে৷ যদিও কলকাতা পুরসভার অতিরিক্ত বা অ্যাডেড এরিয়ার যারা বাসিন্দা আছেন, তাদের এই ফিজ অর্থাৎ বেটারমেন্ট ফিজ দিতে হত না। নগরায়ণ দফতরের তথ্যে এই অ্যাডেড এরিয়া হচ্ছে ১০১ থেকে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ড। ফলে এখানের বাসিন্দাদের শুধু দিতে হয় কলকাতা পুরসভার ডেভেলপমেন্ট ফিজ৷ আর এই অসাম্য দূর করতেই রাজ্য নগরায়ণ দফতর বিধানসভায় পাশ করাল দি ওয়েস্ট বেঙ্গল টাউন অ্যান্ড কান্ট্রি, প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অ্যামেডমেন্ট বিল ২০২৩ ৷
advertisement
আরও পড়ুন-ব্রিটিশ ঔদ্ধত্যকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিলেন ১১ জন বাঙালি, সবুজ-মেরুন আবেগের নাম মোহনবাগান
রাজ্যের নগরায়ণ দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অসাম্য থাকুক আমরা চাইনি ৷ একই শহরে বাস করে ভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের কেন আলাদা আলাদা ফিজ দিতে হবে ৷ তাই এই অর্থ নেওয়া হচ্ছে না। অনেকদিন ধরেই এটা ভাবা হচ্ছিল। অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত বিধানসভায় পাস করানো হল। দফতর সূত্রে খবর, কলকাতার বাগবাজার থেকে বালিগঞ্জ পর্যন্ত এলাকায় বাড়ি বানাতে অন্তত দু’কাঠা জায়গার ওপরে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেটারমেন্ট ফিজ দিতে হত কেআইটি বা কেএমডিএ-কে।
আরও পড়ুন– জবাফুলের মতো লাল চোখ নিয়ে ভিড় ডাক্তারখানায়; রইল কনজাংটিভাইটিস প্রতিরোধের বেশ কিছু উপায়
যদিও বিরোধীরা এই বিষয়কে কটাক্ষ করছেন ৷ তাদের বক্তব্য, একাধিক পুরসভা চালাতে অর্থের প্রয়োজন হয়৷ বিভিন্ন পুরসভায় অর্থের পরিমাণ কমেছে। এর ফলে কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে। এই বেটারমেন্ট ফিজ না নেওয়ার ফলে সেই কাজে অসুবিধা হবে বলে মনে করছেন বিরোধীরা। তবে বিরোধীদের এই আশঙ্কা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তবে আপাতত কলকাতা পুরসভার এক থেকে একশো নম্বর ওয়ার্ড যারা এবার বাড়ি বানাবেন, তাদের আর ডাবল ফিজ দিতে হবে না।