ঘটনার সূত্রপাত ১৭ জুলাই। কসবা থানা এলাকার পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা বর্ণিক দত্ত একটি চুরির অভিযোগ জানাতে ১৭ জুলাই বিকেল পাঁচটা নাগাদ কসবা থানায় যান। সেই সময় তাঁর পরনে ছিল থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট। অভিষেকের অভিযোগ, তিনি থানায় গেলে তাঁর অভিযোগ না শুনেই, থানা থেকে বলা হয় হাফ প্যান্ট পরে নয়, অভিযোগ জানাতে গেলে কথা না বাড়িয়ে তিনি যেন ফুল প্যান্ট পরে আসেন। এই ঘটনার পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন তিনি। পোস্টে অভিষেক লেখেন, 'মানুষজন কী পরবেন তা নিয়ে পুলিশের নীতিপুলিশি দেখে অবাক হলাম। ধরা যাক একজন ব্যক্তি ময়দানে ছিনতাইবাজদের হাতে পড়ল এবং কোনও মতে নিজেকে বাঁচিয়ে পুলিশ স্টেশনে দৌঁড়ে গেল। সে ক্ষেত্রে কী তিনি শর্টস পরে থাকলে, থানায় ঢুকতে পারবেন না?'
advertisement
কিন্তু একজন নাগরিক হিসেবে তাঁর প্রশ্ন তাহলে কি থানাতে অভিযোগ জানাতে আসার কোনও ড্রেস কোডের নিদান আছে? নিজের প্রশ্নের উত্তর পেতে বার্ণিক দত্ত ও তার বন্ধু অভিষেক দে বিশ্বাস কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিককে মেল করেন। শুধু তাই নয় ট্যুইটার হ্যান্ডলে মেসেজ করে জানতে চান 'হাফ প্যান্ট পরে কি থানায় অভিযোগ জানাতে আসা নিষেধ?' একই সঙ্গে কসবা থানার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়। যার উত্তরে কলকাতা পুলিশের তরফে মেসেজ করে বলা হয়, 'অফিসে কী হাফ প্যান্ট পরে যান?
তাঁর কথায়, একটি কাজে বাইরে ছিলেন তিনি। সেই সময়ই বাড়ি সংলগ্ন একটি মন্দিরে চুরির ঘটনা ঘটে। এরপর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানাতে কসবা থানায় যান। অভিযোগ, তাঁকে থানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ, তাঁকে থানায় ঢুকতে গেলে বলা হয়, হাফপ্যান্ট পরে থানার ভিতরে যাওয়া যাবে না। এই ঘটনা পরম্পরার পরে অভিষেকে বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। পোস্টে কলকাতা পুলিশকে যে মেসেজটি তাঁরা করেছিলেন, তাঁর উত্তর সমেত স্ক্রিনশটটিও শেয়ার করেন।
ইতিমধ্যেই ঘটনাটি সম্পর্কে জানিয়ে লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তাদের কাছে ই-মেলে অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিষেক। যা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারকে পুরো বিষয় তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কসবা থানার দুই সিভিক ভলেন্টিয়রকে চিহ্নিত করেছেন। যারা অভিযোগকারীকে ওই দিন বলেছিলেন যে হাফ প্যান্ট পরে এলে অভিযোগ নেওয়া হয় না। আজ সন্ধ্যায় লালবাজারে রিপোর্ট জমা দেবেন ওই আধিকারিক।
AMIT SARKAR