কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর রুমে ধুন্ধুমার। বিজেপি ও তৃণমূল কাউন্সিলরদের হাতাহাতি ,ধস্তাধস্তি, ধাক্কাধাক্কি। তার মধ্যেই সজলঘোষকে রক্ষা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ধাক্কা তৃণমূল কাউন্সিলরদের। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বন্দুকের বাটে আহত তৃণমূল কাউন্সিলর সাধনা বোস। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সি আই এস এফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে কলকাতা পৌরসভার চেয়ারপারসন মালা রায়ের কাছে।
advertisement
পুরসভার অধিবেশনের পর বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ এক সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন কাউন্সিলর রুমে। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন কলকাতা পৌরসভার অন্য দুই বিজেপি কাউন্সিলর মীনা দেবী পুরোহিত ও বিজয় ওঝা। কিন্তু সেখানে বিজেপির উত্তর কলকাতার সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ এবং বিজেপি কর্মী সুনীল সিং তার ব্যক্তিগত অভিযোগ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন শুরু করেন। সেখানেই তাল কাটে কাউন্সিলার রুমে। রে -রে করে ছুটে যান তৃণমূল কাউন্সিলররা।
আরও পড়ুন – IMD Weather Alert: মৌসুমী অক্ষরেখা ও নিম্নচাপ, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঝমঝম বৃষ্টির দাপট, কোথায়, কখন
কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর রুমে বিজেপির সাংবাদিক সম্মেলন হয় কী করে? এই প্রশ্ন তুলে তৃণমূল কাউন্সিলর মহেশ শর্মার প্রতিবাদ। প্রতিবাদে সামিল তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসু চিফ হুইপ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত সহ একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলর। তারপরই হাতাহাতি এবং সিআইএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধে অসীম বসুর পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের কলকাতা পৌরসভার চিফ হুই বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেওয়ার। কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর সাধনা বোস অভিযোগ করেন সিআইএসএফ জওয়ানরা বন্দুকের বাদ দিয়ে তার হাতে মেরেছে।
এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে প্রথমে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এর কাছে যান তৃণমূল কাউন্সিলররা বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর নেতৃত্বে। তারপর লিখিত অভিযোগ জানান চেয়ারপার্সন মালা রায়ের কাছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর এরপরই কলকাতা পৌরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আর পুরসভার অন্দরে প্রবেশ করতে পারবেন না। যদি কোন কাউন্সিলরেরের কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা থাকে তবে বিধানসভার মতোই তাদেরকে কলকাতা পুরসভার গেটের বাইরে রেখে ঢুকতে হবে। তবে কলকাতা পুলিশ বা কলকাতা পুরসভার নিজস্ব নিরাপত্তা রক্ষীরা অবশ্যই পুরসভার অন্দরে থাকবেন।
এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, বিধানসভাতেও তো কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা বাইরেই থাকেন। এখানেও সেটাই করা উচিত। এর সঙ্গে তিনি আরো সংযোজন করেন কাউন্সিলর ক্লাবরুমে শুধুমাত্র কাউন্সিলরাই থাকবেন অন্য কেউ যাতে না থাকে তা কলকাতা পুরসভার নিজস্ব নিরাপত্তা এবং কলকাতা পুরসভার ভেতরে দায়িত্বপ্রাপ্ত কলকাতা পুলিশ নজরে রাখবে।