মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল আরও বলেছেন, ‘কলকাতা পুরসভা ৬ মে ২০২০–এর বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিরোধী দলগুলিসহ নানাপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার কাছ থেকে সেইসব তথ্য প্রয়োজন যার বিষয় আমি আমার ৭ মে–এর চিঠিতে জানতে চেয়েছিলাম।’ মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে কলকাতা পুরসভার এই বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে কি কি তথ্য চাওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল।
advertisement
যদিও মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে আবারও সংবিধান অনুসারে চলার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আপনি যেমন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আপনার দায়িত্ব পূরণের ক্ষেত্রে সংবিধানকে অনুসরণ করে চলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, আমিও রাজ্যপাল হিসাবে তার রক্ষা ও নিরাপত্তা বিধানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কলকাতা পুরসভার সংক্রান্ত যে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে তা সঙ্গতভাবে ১৬৭ নম্বর ধারার অন্তর্ভুক্ত। অনুচ্ছেদ ১৬৭ অনুযায়ী রাজ্যপালের প্রতি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আপনার এই লাগাতার নীরবতা দুর্ভাগ্যজনক ও অনুচ্ছেদ ১৬৪–এর শপথের পরিপন্থী এবং সংবিধানের সত্তা ও ভাবের বিরোধী যা নিশ্চিত রূপে অসমর্থনীয়।’
প্রসঙ্গত কয়েক সপ্তাহ আগেই মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপালের চিঠি মারফত একাধিক কথা হয়। বিভিন্ন বিষয়কে কেন্দ্র করে চিঠি পাল্টা চিঠির পর্ব শুরু হয়। এবার কলকাতা পুরসভার প্রশাসক পদে বসানো নিয়েও কি চিঠি পাল্টা চিঠি পর্ব শুরু হবে? জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়