আরও পড়ুন: ব্যবসার প্রয়োজনে স্বামীর পরিবার টাকা দাবি করলে তা যৌতুক নয়: এলাহাবাদ হাই কোর্ট
সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ প্রসঙ্গ নিয়েও এবার সরব মমতা। তিনি বলেন, “ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশনের কথা বলেছি। উত্তরবঙ্গ নিয়ে এটা হওয়া উচিত। তিস্তার জল চলে গেলে পানীয় জল পাবে না উত্তরবঙ্গ। তিস্তার জল বাংলাদেশে চলে গেলে গ্রীষ্মকালে, শীতকালে উত্তরবঙ্গের মানুষ কী পাবে?” রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ফরাক্কা চুক্তির পুনর্নবিকরণ করা নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
বলতে দেওয়ার সময় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দেখছিলাম বারবার বেল বাজাচ্ছিলেন। কেউ ১৫- ১৬ মিনিট বলেছে। আমার যখন পাঁচ মিনিট হল স্টপ স্টপ হয়ে গেল”। সেই সঙ্গে তাঁর আরও অভিযোগ, “রাজনাথ সিং বলেছিলেন পাঁচ থেকে সাত মিনিট সময় পাব৷ কিন্তু আমাকে তো সাত মিনিটও সময় দেওয়া হল না৷ আমি বেরিয়ে চলে এসেছি৷ বার বার বেল বাজালে কী বোঝায় অপমান করা ছাড়া!” কলকাতায় ফিরে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “এখন শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে৷ নিজেদের মুখ রক্ষা করতে এসব বলছে৷ বিরোধীদের অপমান করতে ইচ্ছাকৃত ভাবে এসব করেছে”৷
আরও পড়ুন: বাংলাকে টুকরো টুকরো করার পরিকল্পনা! দিল্লি যাওয়ার পথে বিস্ফোরক মমতা
নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, বক্তব্য শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ পরে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করা হয়নি৷ শুধু ঘড়িতে দেখানো হয়েছিল যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ করা সময় শেষ হয়ে গিয়েছে৷ পরে নির্মলা সীতারমণও একই সুরেই দাবি করেন, “সংবাদমাধ্যমে উনি অভিযোগ করেছেন যে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল৷ এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে৷”