এনআইএ জানিয়েছে, ধৃতদের থেকে একাধিক নথি, ডিজিটাল ডিভাইস, ধারাল অস্ত্র, দেশি বোমা, বন্দুক, জেহাদি বইপত্র, বিস্ফোর তৈরির বই উদ্ধার হয়েছে৷ এছাড়াও একাধিক সিমকার্ড পাওয়া গিয়েছে৷ এই জঙ্গিরা মূলত অর্থ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিল৷ একই সঙ্গে হামলার ছকও বানাতো৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এরা পাকিস্তানে আল কায়েদার নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত৷ দিল্লি সহ দেশের একাধিক শহরে হামলার ছক ছিল এদের৷
advertisement
মুর্শিদাবাদ থেকে যারা ধরা পড়েছে, তারা হল, নাজমুস সাকিব, আবু সুফিয়ান, মইনুল মণ্ডল, লিউ ইয়ান আহমেদ, আল মামুন কামাল ও আতিউর রহমান৷ কেরলের এর্নাকুলামে ধৃত জঙ্গিরা হল, মুর্শিদ হাসান, ইয়াকুব বিশ্বাস ও মোশারেফ হোসেন৷
গোপন সূত্রে আল কায়েদা মডিউলের খবর পেয়ে দিল্লি থেকে কলকাতায় আসেন NIA-র ১২ জন আধিকারিক৷ ৪টি গাড়িতে মুর্শিদাবাদ যান তাঁরা৷ শুক্রবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জন আল কায়েদা জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ৷ আজ অর্থাত্ শনিবার মালদহ ও মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গা ফের তল্লাশি চালাবে এনআইএ৷
এনআইএ-র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় একাধিক হামলা চালানোর ছক করছিল এই জঙ্গিরা৷ এদের উদ্দেশ্য ছিল, প্রচুর মানুষকে হত্যা করার৷