জানা গিয়েছে, নদিয়ার রানাঘাটের বাসিন্দা সৌমিত্র। তবে নিউটাউনের আদর্শ পল্লী এলাকায় ভাড়া থাকত সে। এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। গোটা ঘটনার তিন দিন পরও থমথমে এলাকা। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন এলাকাবাসীরা। জানা গিয়েছে, এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ।
advertisement
ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা বেজে ৪৯ নাগাদ জগতপুর ৭ নম্বর এলাকা থেকে ওই নাবালিকা একটি টোটোতে ওঠে গৌরাঙ্গ নগর বাড়ি যাবে বলে। এরপর টোটোর পিছনের সিটে বসে যায় নাবালিকা। অন্য যাত্রীরা উঠলে টোটো চালক নাবালিকাকে সামনের সিটে বসিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ধৃত টোটো চালক নিউটাউনে অন্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। তারপরেই নিউটাউন এর বিভিন্ন রাস্তায় ঘোরানোর পর লোহা ব্রিজের কাছে পরিত্যক্ত জঙ্গলে নিয়ে যায় নাবালিকাকে। এরপরই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। এমনই অভিযোগ ধৃত টোটো চালকের বিরুদ্ধে।
যদিও ওই টোটো চালকের স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী এমন কাজ করতে পারেন বলে তিনি মনে করেন না। তবে, তার স্বামী বাড়িতে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা, এমন কী মারধরও করত বলে অভিযোগ তাঁর। ঘটনার দিন রাতেও তার স্বামী রাত ১২টা নাগাদ বাড়ি চলে আসেন বলে দাবি তাঁর। যদিও সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী সেই তথ্য মিলছে না বলে দাবি তদন্তকারীদের।
এদিকে, নিউটাউন লোহারপুল এলাকায় যেখানে নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেখানে আজ NKDA-র কয়েকজন কর্মী এবং নিউটাউন থানার পুলিশ জায়গাটিকে পরিদর্শন করেন। NKDA-র পক্ষ থেকে লাইটের ব্যবস্থা করতে বলা হয় এবং ক্যামেরাও বসানোর কথা বলা হয়। এর পাশাপাশি প্রবেশপথ এবং বাহির পথ গেট বসানোর নির্দেশও দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনায় অভিযুক্ত টোটোচালক ছাড়া আর কোনও ব্যক্তি জড়িত আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।